অনলাইন ডেস্ক:- সোমবার সাবধানে থাকুন। কেন? কারণ, অন্য দিনের তুলনায় সোমবার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বেশি। হার্ট অ্যাটাক না-হলেও, বুকে ব্যথা তো বেড়ে যায়ই। তাই সোমবারকে ‘মানডে ব্লুজ’ বলা হয়। অন্তত গবেষণা বলছে এমনই কথা। স্কটল্যান্ডে একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, রবিবারের ছুটি কাটিয়ে সোমবার অফিসে যাওয়ার স্ট্রেস অনেককেই অসুস্থ করে দেয়। দিল্লির চিকিত্সকরা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, ব্যক্তি স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করা শিখে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা সম্ভব। অন্য দিনের তুলনায় সোমবার হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে বেশি রোগী আসেন বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। স্কটল্যান্ডে ৯১ হাজার ১৯৩ জন পুরুষ এবং ৭৯,০৫১ জন মহিলার ওপর কয়েক সপ্তাহ ধরে এই সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, সোমবার ৩১ শতাংশ লোকের হার্ট অ্যাটাক হয়। আবার সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় সোমবার ৩.১ শতাংশ বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। ফোর্টিসের কার্ডিওলজিস্ট চিকিত্সক বিনয় সাঙ্ঘী জানিয়েছেন, সোমবার সকালে সবচেয়ে বেশি হৃদরোগী চিকিত্সার জন্য আসেন। পাশ্চাত্য দেশগুলিতে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটের ডায়রেক্টর চিকিৎসক ও পি যাদব জানিয়েছেন, রবিবার ছুটি থাকায় শনিবার রাত থেকে লোকেরা পার্টিতে ব্যস্ত হয়ে যান, একে হলিডে সিনড্রোম বলা হয়। কিন্তু উইকএন্ড শেষ হওয়ায় যখনই অফিস যাওয়ার কথা মাথায় আসে, তখন থেকেই চাপ বাড়তে শুরু করে। কারও কারও ক্ষেত্রে ছুটি কাটিয়ে অফসি যাওয়ার চাপ এতটাই বেশি হয় যে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়। মেট্রো সিটিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে খুব কম লোকই হলিডে সিন্ড্রোম থেকে বাঁচতে পারেন। আবার পার্টিতে অত্যধিক মদ্যপান এবং তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার এই সমস্যা বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়। হলিডে সিনড্রোম ব্যক্তির শরীরে উপস্থিত রাসায়নিক দ্রব্যেকেও প্রভাবিত করে। তার পর মান্ডে ব্লুজ হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তা হলে এ থেকে বাঁচার উপায় কী? বাড়ি থেকে কাজ করা বা ওয়ার্ক অ্যাট হোম এ ক্ষেত্রে স্বস্তি দিতে পারে। চিকিৎসক বিনয় সাঙ্ঘী জানিয়েছেন, জাপান এবং পশ্চিমের দেশগুলিতে এমন কিছু সমীক্ষা চালানো হচ্ছে, যেখানে কাজের কোনো নির্ধারিত দিন নেই। তাঁদের ওয়ার্ক অ্যাট হোমের মতো স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে টার্গেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কর্মচারীদের কাজ দিয়ে দেওয়া হবে এবং সেই সঙ্গে সেই কাজ পুরো করার জন্য সম্পূর্ণ সময়ও দেওয়া হবে। কর্মচারী যেকোনো স্থান থেকে কাজ করতে পারবেন। এইসময় – সূত্র:ইন্টারনেট