সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃসদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়নের শিকড়ী গ্রামে সীমান্ত এবং শহরে যাতায়াতের প্রধান সড়কের পার্শ্বে নাম মাত্র ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন করে একটি চাঁদাবাজ চক্র প্রতিদিন লুটে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। টার্মিনালে ট্রাক প্রবেশ করলেও টাকা দিতে হবে না করলেও টাকা দিতে হবে এই চক্রটির। এক কথায় বৈকারি সড়কে ট্রাক ঢুকলেই এই চক্রটির চাঁদা না দিলে ট্রাকটি ফিরে আসতে পারছে না। সাথে সাথে মাদক, ফেন্সিডিল, নারী ব্যবসা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে বেশ ধুম-ধামের সহিত। অভিযোগ রয়েছে, গ্রামের কথিত এই টারমিনালের কোন অনুমোদন নেই। অবৈধভাবে ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন করে চক্রটি রাতারাতি ফুলে ফেপে মোটা তাজা হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত কয়েক মাস আগে শিকড়ী গ্রামের শামছুল হকের পুত্র মাদক সম্রাট মইজদ্দীন টুলু, একই এলাকার মৃত ইবাদাত গাজির ছেলে আকিজুল, মাওলা বক্স এর ছেলে ওহিদ ও মৃত সামু মাস্টার এর ছেলে সাঈদুর রহমানের সমš^য়ে এই চাঁদাবাজ চক্রটি গড়ে উঠেছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, সাতক্ষীরা বৈকারি সড়কের শিকড়ী গ্রামের প্রধান সড়কের পার্শ্বে কিছু ব্যক্তি মালিকানা জমি লিজ নিয়ে অবৈধ ভাবে ট্র্রাক টার্মিনাল স্থাপন করে। সিমাš— দিয়ে হাজার হাজার গর“ দেশের বিভিন্ন স্থানে নেয়ার জন্য প্রতিদিন শত শত ট্রাক এ অঞ্চলে আসলে তাদেরকে উক্ত টার্মিনালে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ট্রাক প্রতি ৩০০-৫০০ শত টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এই টাকা না দিতে চাইলে জোর জুলুম করে নেয়া ছাড়াও অনেককে এপর্যš— মারপিট হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে। যদি কোন ট্রাক চালক উক্ত কথিত ট্রাক টার্মিনালে ট্রাক না রাখে বাধ্যতা মূলক তাদেরকে টাকা দিতে হয়। টাকা দিতে না চাইলে বা ট্রাক না রাখলে উক্ত রা¯—া দিয়ে বা গর“ আনার জন্য ওই ট্রাক ঢুকতে দেয়া হয়না বলে সংশিষ্ট একাধিক সূত্রের দাবী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, দিনে-রাতে সব সময় এখানে নেশাদ্রব্যের ছড়া-ছড়ি হয়। প্রশাসন সবকিছু জানলেও নাজানার ভান করে বসে আসে। সূত্রমতে আদায়কৃত বিপুল পরিমান এঅর্থ শহরের শাষকদলের কিছু নেতাদের পকেটে পৌছানো হয়। শুধু তাই নয় প্রশাসনের কয়েকটি ¯—রেও দেয়া হয় বলে জনশ্র“তি রয়েছে। ফলে চাঁদাবাজ চক্রটি কথায় কথায় হুমকী দিয়ে আর আস্ফালন করে তাদের কেউ কিছুই করার ক্ষমতা রাখেনা বলে জানায়। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ এই টার্মিনালের কারণে আসপাশের ফসলসহ অন্যান্য ব্যবসার ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এলাকাবাসী কথিত এই টার্মিনাল সরিয়ে নেয়ার জোরদাবী জানিয়েছেন।
এসম¯— বিষয়ে কুশখালি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু রায়হান জানান, ট্রাক টার্মিনাল করা হয়েছে দেখেছি। কিন্তু এর কোন বৈধতা নেই দাবী করে তিনি বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তারা একটা ট্রেড লাইসেন্সও নেয়নি। তবে এমপি বরাবর আবেদন করার জন্য আমার নিকট থেকে সুপারিশ নিয়েছিল বলে তিনি জানান।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান গনমাধ্যমকে জানান, গ্রামের মধ্যে ট্রাক টারমিনাল করার কোন সুযোগ নেই। এটি সাধারণত করতে শহর বা শহর উপককেণ্ঠ হতে পারে। সেক্ষেত্রে পৃথক পৃথক অনুমোদন নেয়ার বিষয় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রামের কিছু চাঁদাবাজ চক্র দলীয় নেতাদের পুজি করে চালিয়ে যাচ্ছে। বিতর্কিত এই টার্মিনাল নিয়ে নানাবিধও অভিযোগও রয়েছে। তবে তিনি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
কাজী নাসির উদ্দীন, সাতক্ষীরা