ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সারা দেশ এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। ঘরে-বাইরে মানুষ নিরাপদ নয়। দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা দেখলে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। হিন্দুদের মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে, গির্জায় আক্রমণ করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ খুন ও গুম করছে সরকার। মানুষের নিরাপত্তা নেই। বাধ্য হয়ে মা-বোনরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসছে। সরকারের দুই কান কাটা, তাই তারা শুনেন না। তিনি টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। সব সময় পাশে থাকবো। খালেদা জিয়া গতকাল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর-চিনাই-আখাউড়া সড়কের বালু মাঠে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা বক্তৃতা করতে আসিনি। যারা আহত হয়েছেন, মারা গেছেন তাদের খোঁজ নিতে এসেছি। তাদের পরিবার-পরিজনদের সানতনা দিতে এসেছি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে বিপুল সাহায্যের প্রয়োজন। আমরা শুনেছি ব্যাপক ত্রাণ আসেনি। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। খালেদা জিয়া বলেন, সামনে বর্ষাকাল। তখন আরো কষ্ট হবে। বিপদের দিনে আমরা দুর্গতদের সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আরো করবো। এখন মূল প্রয়োজন হলো টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারের সাহায্য করা। শুকনো খাবার দরকার। চাল-ডাল ত্রাণের খাবারের দরকার নেই। তিনি পরিবেশ রক্ষার জন্য তিনি আহবান জানান। বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এগিয়ে আসুন। ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদগুলো তৈরি করে দেওয়ার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী এড. হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক এমপি খায়রুল কবীর খোকন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, সাবেক রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব এড. খুরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবাসীকল্যাণ সম্পাদক এ কে একরামুজ্জামান, কেন্দ্রীয় বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আতিকুল ইসলাম খোকন, কেন্দ্রীয় নেত্রী নুরে আলম শাফাত, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান, উকিল আব্দুস সাত্তার ভঁূইয়া, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক তকদীর হোসেন মো. জসীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য রফিক শিকদার, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল প্রমুখ।
খালেদা জিয়া এর আগে নিহত পরিবারগুলোর স্বজনদের নগদ ৩০ হাজার টাকা, ২০ কেজি চাউল, ৩টি শাড়ি ও ২টি লুঙ্গি প্রদান করেন। আহতদের মাঝে পরে ত্রাণ দেওয়া হবে বলে বিএনপি সূত্র জানায়।
খালেদা জিয়া সন্ধ্যা ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ত্যাগ করেন।
জি নিউজ বিডি .নেট/৩১-০৩-২০১৩