ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি ঃ শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল অবৈধ ভাবে সরকারী বিধিমালা তোয়াক্কা না করে কৌশলে প্রকল্প ক্রয় ব্যবসায়ীদের সাথে আতাত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কৌশলে ৪/৫ জনের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের বিপরীতে প্রকল্প সভাপতি/সম্পাদকগনের প্রতি টন কাবিখা, টাবিটা গম, চাউলের আনুষঙ্গিক খরচ বাদে অর্ধেক দাম ধরে অগ্রিম ক্রয় করে। এসব ব্যবসায়ীগন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার আতাতে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদী নিজেরাই ঠিক করে গুদাম থেকে প্রকল্পের মালামাল উত্তোলন করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে। আবার কেউবা পূনরায় খাদ্য গুদামের ষ্ট্রকে রেখেই প্রয়োজন মোতাবেক নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। যার ফলশ্রæতিতে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের কোন ধরনের কাজ হয়না। এত লাভবান হন প্রদত্ত প্রকল্পের সভাপতি/সম্পাদক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা । আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের সভাপতি/সম্পাদকও অবগত নহেন। যাহা শুধু কাগজে কলমে প্রকল্পের সভাপতি/সম্পাদকের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রমের ফলে সরকারের গৃহীত উদ্দেশ্যের কোন ফলাফলই আসছেনা । প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ভীড় জমিয়ে থাকে ওইসব প্রকল্পের অর্ধেক দামে মাল ক্রয় করা সিন্ডিকেটের সদস্যগণ। এমন কয়েক ব্যক্তি আছেন, যারা এলাকার মেম্বার/চেয়ারম্যান নন ,তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এত কিসের ভীড়? এ ধরনের প্রশ্ন উঠেছে সূধীমহলের মাঝে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরের প্রকল্পের কাজের তালিকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের কাছে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের কোন ধরনের তথ্য দিতে অ¯স্বীকার করে বলেন, যদি আপনাদের কোন তথ্যের প্রয়োজন হয়, তবে তথ্য আইনের ফরমে দরখাস্ত করতে বলেন এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরও দোহাই দিয়ে প্রতারনা ও আত্মসাতের বিষয়গুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমতাবস্থায় আনীত অভিযোগ গুলো অতীব গুরুত্বের সাথে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।