আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া সত্ত্বেও সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ইসরাইলি সেনারা গাজার রাফাহ ও খান ইউনুস শহরে বিমান এবং ট্যাংকের হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি শহীদ ও ২০০ আহত হয়েছে। রাফাহ শহরের হাসপাতাল ও শপিংমলে গোলা নিক্ষেপ করেছে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতির প্রথম সুযোগেই খান ইউনুস শহরে ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হামাস যোদ্ধারাও পাল্টা জবাব দিয়েছেন। রাফাহ শহরে হামাসের হামলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আরো ১৫ সেনা নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম জানিয়েছে। তবে, ইসরাইল মার্কিন এনবিসি টেলিভিশনকে দুই সেনা নিহত ও একজন আটকের কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া, ইসরাইলের সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল পিটার লারনার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, হামাসের হাতে সেনা আটকের ঘটনার পর যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেছে। সেনা আটকের পর ইসরাইল রাফাহ শহরের লোকজনকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে শিগগিরি সেনা অভিযান শুরু হবে বলেও জানিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা গাজায় অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন। কোনো কোনো মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে যে, নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতির আগেই নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি হোক বা না হোক তার সেনারা গাজার টানেল ধ্বংস করবেই। সে ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি যে খুব একটা কার্যকর হবে না তা মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। হামাস মুখপাত্র আবু জুহরিও বলেছিলেন, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি পালন করলে তারাও তা মেনে চলবেন। এদিকে, ইহুদিবাদীদের হামলা তীব্রতর হওয়ায় হামাসও ইসরাইলের ভেতরে রকেট ছুঁড়েছে। খবর-রেডিও তেহরান, গতকাল দুপুরের দিকেই এশকল এবং আশকেলোনসহ বেশ কয়েকটি শহরে হামাসের রকেট আঘাত হানার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়।