মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃ মৌলভীবাজারে “লক” ভেঙ্গে গাড়ী থানায় নেয়ার কারণ জানতে গিয়ে পুলিশের নির্যাতনে এক পরিবহন শ্রমিক নেতা আহত হবার ঘটনায় সমগ্র জেলার পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছ্।জানা যায়- ১৮ জুলাই সকাল ৬টায় শহরের কাজিরগাঁও এলাকায় ঢাকা মেট্রো-চ- ৫৪-১২৯২ নং মাইক্রোবাস বাসার সামনে পার্কিং করে বিশ্রামে যান। এ সময় মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ গাড়ীর দরজা ও স্টিয়ারিং লক ভেঙ্গে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়টি জানতে জেলা মাইক্রোবাস গ্রæফের সভাপতি শ্রমিক নেতা কয়েছ মিয়া, জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলকাছ মিয়া, গাড়ির মালিক শামিম আহমদ ও গাড়ী চালক আবুল মিয়া থানায় গেলে পুলিশ তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও মারধর করে। এতে শ্রমিক নেতা কয়েছ মিয়া মারাত্মক আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা বিকেল ৫টায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। প্রতিবাদ সভায় সকল স্তরের পরিবহন শ্রমিক অংশ নেয় এবং দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবী জানান। কয়েকজন শ্রমিক নেতা অভিযোগ করে বলেন- নবাগত পুলিশ সুপার মৌলভীবাজারে যোগ দেবার পর থেকে সারা জেলার পরিবহন শ্রমিকরা বিপুল পরিমানের চাদাঁ দিতে হচ্ছে ট্রাফিক সার্জেন্টের মাধ্যমে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অবিল¤ে^ পুলিশ সুপারসহ ঘটনার সথে জড়িতদের শাস্তিসহ অপসারন দাবী করেন। গাড়ী চালক আবুল মিয়া জানান- খাদিজা বেগম নামের এক মহিলা তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায়, পুলিশ আপনার গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে তিনি গাড়ির কাছে গিয়ে দেখেন এসআই তাপস ও দেলোয়ার গাড়ীর দরজা ও স্টিয়ারিংয়ের লক ভাঙ্গছেন। গাড়ীর দরজা ও স্টিয়ারিংয়ের লক ভাঙ্গার কারণ জানতে চাইলে এসআই তাপস ও দেলোয়ার তাকে ধমক দিয়ে বলেন, গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক রয়েছে তাই লক ভাঙ্গা হয়েছে। এরপর তাকে থানায় যাবার কথা বলে তারা গাড়িটি নিয়ে যায়। ঘটনার পরপর দূর্ণীতির জন্য বহুল আলোচিত ট্রাফিক সার্জেন্ট আবু দাউদ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মিথ্যা ¯^াক্ষ্য দিতে, নতুবা মামলায় জড়ানো হবে বলে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনকে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তিনিও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
আব্দুল হাকিম রাজ/জি নিউজ