জি নিউজ বিডি ডট নেট ডেস্ক:- কায়রোয় ইমাম হুসাইন (আ.) মসজিদে সংরক্ষিত বিশ্বনবী (সা.)’র তরবারি, জামা ও আরো কয়েকটি জিনিস এবং (ডানে উপরে) ইমাম হুসাইন (আ.) মসজিদের ভেতর ও বাইরের কয়েকটি দৃশ্য। এই মসজিদে এক সময় ইমাম (আ.)’র কর্তিত মস্তক মুবারক রাখা হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।(মাঝখানের ছবি দ্র.) [এসব ছবিই পুরনো ফাইল ফটো] মিশরের রাজধানী কায়রোয় অবস্থিত ইমাম হুসাইন (আ.) নামের মসজিদটি বন্ধ করে দেয়ার পর ওই মসজিদ থেকে বিশ্বনবী (সা.)’র পবিত্র তরবারি ও জামাসহ তাঁর জিনিসপত্র হিসেবে পরিচিত কয়েকটি জিনিস অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মিশরের ‘আহলে বাইত (আ.) ও সুফি ফের্কাগুলোর কেন্দ্রে’র মহাসচিব আবদুল্লাহ নাসের দেশটির ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র ব্যক্তিগত জিনিসপত্র হিসেবে কথিত ওই জিনিসগুলো কোথায় রাখা হয়েছে তা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন থেকে দুই মাস আগে ওই পবিত্র জিনিসগুলো অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আশুরার অনুষ্ঠানমালা উদযাপন বানচালের জন্য কায়রোর ইমাম হুসাইন (আ.) মসজিদটিও বন্ধ করে দেয়া হয় গত মহররম মাসে। আবদুল্লাহ নাসের সিএনএন টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইমাম হুসাইন (আ.) মসজিদ খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই মসজিদ শিয়া মুসলমানদের ততপরতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি জানান, মহানবী (সা.)’র জামা, তরবারি, সুরমাদান ও তাঁর মাথা মুবারকের কয়েকটি চুল অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (আ.)’র খিলাফত-পূর্ব সময়ের হাতে-লিখা এক খণ্ড পবিত্র কুরআনও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে আবদুল্লাহ জানান। তিনি বলেছেন: ইমাম হুসাইন (আ.) মসজিদের ট্রাস্টি বোর্ডও মসজিদটি আবারও খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিশরের ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের কাছে। কিন্তু এতে কোনো সুফল হয়নি। আবদুল্লাহ জানান, ইমাম হুসাইন (আ.) মসজিদে সংরক্ষিত মুহাম্মাদ (সা.)’র ব্যক্তিগত জিনিসপত্রগুলো ও মসজিদটির লাইব্রেরি গত আশুরার সময় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শিয়া-সুন্নি বিরোধ ঠেকানোর জন্য এই মসজিদটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে মিশর সরকারের কর্মকর্তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা নাকচ করে দিয়ে আবদুল্লাহ বলেন: মিশরে শিয়া মুসলমানের সংখ্যা কয়েক হাজার মাত্র এবং তারা এ পর্যন্ত কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনি।সূত্র-রেডিও তেহরান তাঃ- ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৪।