ডেস্ক রিপোর্ট, জি নিউজ : মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বিদেশে কর্মী পাঠালে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হলো। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব মর্তুজা আহমেদ সংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রস্তবিত আইনে রিক্রেুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করার যাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নিতে পাবরে।
মর্তুজা আহমেদ বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী অধ্যাদেশটি রয়েছে সেটি ১৯৮২ সালের। এটাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেই নতুন করে এ আইনটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান অধ্যাদেশে ২৯টি ধারা রয়েছে। আর এখন যে আইনটির প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে মোট ৬১টি ধারা রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বিদেশগামী শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ সুরক্ষা, দেশীয় রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা ও ভিসা ট্রেডিং রোধ, রিক্রুটিং লাইসেন্স প্রদান এবং বিদেশ ফেরত শ্রমিকের মামলা করার অধিকার ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মর্তুজা আহমেদ জানান, প্রস্তাবিত আইনের ৩৭ থেকে ৪৭ ধারা পর্যন্ত অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং অনুর্ধ্ব এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া অনধিক সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করারও বিধান রয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, এ আইনে মামলার নিষ্পত্তির জন্য অভিযোগের তারিখ থেকে চার মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি না হলে সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করে আরো দুমাস সময় বাড়ানো যাবে। এছাড়া দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনে ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্টের অধীনে এ মামলা পরিচালনা করা যাবে এবং এছাড়া আদালতের বাইরে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির’ সুযোগ রাখা হয়েছে।
শাস্তির বিধান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিচারের জন্য দ্রুত মোবাইল কোর্ট আইন তফসিলভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, এখানে বিকল্প বিরোধ মীমাংসা ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে।
বিদেশী কমর্রত শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষন ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জবাবদিতিহতাও এ আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। প্রতারণা, জবরদস্তি ও মিথ্যা আশ্বাসের জন্য পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকার জরিমানা বিধান ও প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন ধারাতে রিক্রটিং এজেন্সিগুলোর অনিয়মের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সসদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।