গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ধনারপাড়া গ্রামে আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমির মালিককে তার নিজস্ব জমিতে ফসল ফলাতে বাধা প্রদানসহ তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বেধরক মারপিটের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এতে মহিলাসহ ৬ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু হাসপাতালে কর্মরত ব্রাদার মকবুল ঘটনার মুল নায়ক হওয়ার কারণে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি হতে এবং চিকিৎসা প্রদানে বাধার সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে ভর্তিকৃত আহতদের চিকিৎসা প্রদান না করেই বেআইনীভাবে এবং জোরপূর্বক রিলিজ করে দেয় বলে গুর“তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সাংবাদিকরা বিষয়টি অবগত হয়ে হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুনরায় তাদের ভর্তি করে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার ফুলছড়ির ধনারপাড়া গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে মকবুল হোসেন, হাছেন আলী, ফুল মিয়া, সুজা মিয়া ও রফিকুল ইসলামের ছেলে মনি মিয়া পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ছালামতের জমি জবর দখল করে দীর্ঘদিন যাবত চাষাবাদ করে আসছিল। এব্যাপারে উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা (২৩৭৯/১৩) দায়ের করা হয়। উক্ত মামলার রায়ে সহকারি জজ আদালত থেকে ডিক্রি প্রদান পূর্বক জমির প্রকৃত মালিক ছালামতকে ঢোল শহরৎ করে যথারীতি দখল দেয়া হয়। আদালত কর্তৃক দখল পাওয়ার পর ছালামত জমিতে চাষাবাদ করে ধানের চারা রোপন করতে শুর“ করলে উক্ত মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে সহযোগি সন্ত্রাসীরা শুক্রবার ছালামত এবং তার পরিবারের লোকজনের উপর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এতে ছালামত, ফুরুজা খাতুন, আফরোজা, সাজেদা, আমিনুল, রাশেদা গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে রাশেদা ও ফুরুজা খাতুন গুরুতর আহত হয়। উলেখ্য এব্যাপারে ইতিপূর্বে গত ৯ ডিসেম্বর ফুলছড়ি থানায় উক্ত আসামিদের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর অভিযোগে একটি সাধারণ ডাইরীও (২০৭/১৩) করা হয়েছিল।