জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- বাংলাদেশে আগামী ৫ জানুয়ারি রোববার অনুষ্ঠেয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটির তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ। ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, আগামী রোববারের নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অংশগ্রহণ না করায় জরিপে অংশ নেয়া তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৭ শতাংশ মানুষ এ নির্বাচনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মনে করেন। ভোটে বিএনপি অংশ না নিলেও, ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন ৪১ শতাংশ মানুষ। এ জরিপ অনুযায়ী, নির্বাচনী ফলাফলে জয়ের সম্ভাবনায় বিএনপি এগিয়ে থাকলেও, ব্যবধানটা সামান্য। সুযোগ থাকলে ৩৭ শতাংশ মানুষ বিএনপিতে ও আওয়ামী লীগে ভোট দিতেন ৩৬ শতাংশ মানুষ। অবশ্য, নির্বাচনে কোন দল জয় পাবে, তা অনুমানের ক্ষেত্রে বিএনপিই এগিয়ে। ৪৪ শতাংশ মানুষ অনুমান করছেন, জয়ের পাল্লাটা ঝুঁকতো বিএনপির দিকে। আর ৩৮ শতাংশ মানুষের ধারণা, আওয়ামী লীগই নির্বাচনে জয়লাভ করতো। জরিপে অংশ নেয়া ৭১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দেশ ভুল পথে এগোচ্ছে। বর্তমান সরকার একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে জরিপে অংশ নেয়া ৪৭ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। ৩৮ শতাংশ এর বিপক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এদিকে, ফেনীর দাগনভূঞায় ৭টি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল(শুক্রবার) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রগুলো হলো উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নয়নপুর প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া আদর্শ একাডেমী ও গজারিয়া হাসানিয়া মাদ্রাসা। জায়লস্কর ইউনিয়নের ওমরপুর সুলতানা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। মাতুভূঞা ইউনিয়নের মাতুভূঞা করিম উল্লা উচ্চ বিদ্যালয় ও রামনগর ইউনিয়নের বশিরিয়া মাদ্রাসা ও দাগনভূঞা পৌরসভার উদরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রগুলো পুলিশ পরিদর্শন করেছে। আগুনে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ার, টেবিলসহ ১৫ লাখ ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি না মানায় বিএনপি ও প্রায় ২০টি সহযোগী দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আগেই। ফলে, দেশজুড়ে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তাক্ত ১২টি মাস প্রত্যক্ষ করেছে বাংলাদেশের মানুষ। গত অক্টোবর মাসের শেষদিক থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন।খবর রেডিও তেহরান এর #