জি নিউজঃ-এবার দুই কোটি ১০ লাখ শিশুকে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয় দফায় শনিবার দেশব্যাপী ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়া সরকার প্রতিবছর দুই দফায় শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর কর্মসূচি চালায়। এর মাধ্যমে রাতকানা রোগে আক্রান্তের হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। ১৯৮২ সালে যেখানে এ হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ সেখানে বর্তমান কমে তা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ইউনিসেফ বলছে, ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক গত বুধবার সাংবাদিকদের জানান, সারা দেশে স্থায়ী এক লাখ ২০ হাজার এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব কেন্দ্র খোলা থাকবে বলে জানান তিনি। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট বলেছে, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে শিশু মত্যৃ ২৪ শতাংশ কমিয়ে আনা যায়। সাধারণত এ সময় দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেটও খাওয়ানো হয়। তবে গত মার্চে এ দুটো একসঙ্গে দেয়ার পর শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ায় এবার ভিটামিন ‘এ’ এর সঙ্গে কৃমিনাশক ট্যাবলেট না খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকা র। তাঃ-০৫-১০-২০১৩