গাইবান্ধা প্রতিনিধি:দিন যত ঘনিয়ে আসছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের উত্তাপ তত বাড়ছে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই বলে ধারনা করা হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ছুটছেন অন্তহীন। নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। উপজেলার সর্বত্রই যেন সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশের। ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গোবিন্দগঞ্জ বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম উপজেলা হওয়ায় প্রার্থীরা দম ফেলানোর সময় পাচ্ছেন না। ১৩০টি কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ১৫ হজার ৭ শত ৯২ জন ভোটার আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোয়ার হোসেন চোধুরীকে হারিয়ে গোবিন্দগঞ্জে সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তবে প্রাথী ছিল না ১৮ (বর্তমানে ১৯ দল) দলের। তাই সংসদ নির্বাচনে লড়াই হয়েছিল আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ।
উপজেলা নির্বাচনে প্রেক্ষাপটটা পুরোটাই আলাদা। ১৯দলীয় জোট সংসদ নির্বাচন বয়কট করলেও উপজেলা নির্বাচনে তা করছে না। আনারস প্রতিক নিয়ে গোবিন্দগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান এবং ১৯দলীয় জোটের সমর্থিত প্রার্থী ফারুক কবির আহমদের প্রতিক মোটর সাইকেল। আলাদাভাবে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হয়েছেন আ ফ ম মজিবর রহমান।
তবে উপজেলাবাসী বলছে, চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান এবং ১৯ দলীয় প্রার্থী ফারুক কবির আহমদের মধ্যে। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে পরপর দুবার ইউ’পি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লতিফ। পক্ষান্তরে গুমানিগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে তিন বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক। দুই প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুজনেরই অঙ্গিকার নির্বাচনে বিজয়ী হলে সমৃদ্ধি এবং আরও উন্নতির দিকে নিয়ে যাবেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাকে।
উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে খন্দকার আব্দুর রহমান মাষ্টার (তালা), এস এম কবির রাসেল (চশমা), আবু জাফর লেলিন (টিয়া পাখি), নুরুন্নবী প্রধান (মাইক) এবং আশরাফুল ইসলাম মুকুল (টিউবয়েল) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রুনা আরজু মনোয়ারা ইডেন (হাঁস), উম্মে জাহান রিংকু (প্রজাপতি), আকতারা বেগম রুপা (কলস) এবং কামরুন্নাহার ফেলী (ফুটবল)।