জি নিউজ অনলাইনঃ- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিজ দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে গোটা দেশটাকেই যেন সন্ত্রাসের লীলাভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। সারাদেশ এখন যেন সরকারি মদদপুষ্ট প্রকাশ্য ঘাতক ও গুপ্ত ঘাতকদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই রক্তপাতই যেন আওয়ামী লীগের দেশ শাসনের মূল এজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।খালেদা জিয়া বলেন, “প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার রাজনীতিই হচ্ছে আওয়ামী সরকারের শাসনের মূল বৈশিষ্ট্য। দেশে এক ব্যক্তির খেয়াল খুশির শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই ৫ জানুয়ারির জনসমর্থনহীন নির্বাচনের পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীরা এখন একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করার জন্য নানামুখী অপকৌশল এঁটে যাচ্ছে। সেই অপকৌশলের অংশ হিসেবেই অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে গ্রেফতার করা হলো।”বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “এই অবৈধ সরকার তার সর্বগ্রাসী ক্ষুধা মেটানোর জন্য গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকুকে মুছে ফেলে দিতে চাচ্ছে। আর এজন্যই মানুষের বাকস্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার জন্য জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে। অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে কেউ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেজন্য বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করতে বিচারকদের অভিশংসন করার ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হচ্ছে।”খালেদা বলেন, “সরকার মনে করছে আতংক, ভীতি প্রদর্শন এবং চরম নির্যাতন নিপীড়ণের মধ্য দিয়ে নিজেদের ক্ষমতাকে নিরাপদ ও চিরস্থায়ী করা যাবে। কিন্তু তাদের জুলুম নির্যাতন ও রক্তাক্ত অপশাসনের পরিণতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা তারা টের পাচ্ছে না, কারণ তারা কোনোদিনই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি।”তিনি বেলন, “আওয়ামী লীগের ইতিহাস পার্লামেন্ট, ভোটসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা, কারণ তারা জনগণের মৌলিক অধিকার এবং মানুষের বিবেকের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এই অবৈধ সরকার তাদের সকল অপকর্ম ঢাকতেই বিরোধী দলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। দুর্নীতি, দু:শাসন, হত্যা, গুম, অপহরণ ও হানাহানি মারামারিতে দেশবাসী এখন জর্জরিত।”অবিলম্বে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।