গাইবান্ধা প্রতিনিধি:গাইবান্ধার ৭টি উপজেলার প্রত্যান্ত জনপদে বাড়ছে শীতে তীব্রতা। কনকনে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ গুলো শীত বস্ত্রের অভাবে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের সকল কাজকর্ম। গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি এই এলাকায়। হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা শহরে লোকজনের উপস্থিতি অনেকাংশে কমে গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এ কারনে শীত জনিত রোগে আক্তান্ত হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়বৃদ্ধরা।
সারাদিন ধরে বইছে ঠান্ডা কনকনে বাতাস। ফলে শহর থেকে মানুষ সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে বাড়ি ফিরছে। ঘর থেকে জরুরী কাজ ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না। ছিন্নমূল মানুষ গুলো প্রচন্ড শীতে বেশী কাহিল হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ পুরানো কাপড় দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। আবার কেউ কেউ কম দামে শীতের কাপড় কিনতে গরম কাপড় দোকানে ভীড় জমাচ্ছে। এ সুযোগে পুরাতন কাপড়ের মার্কেট গুলোতে গরম কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন দিন গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ব্যবসা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। অপর দিকে ছিন্নমুল অসহায় লোকদের শীতের কাপড় কেনার মতো টাকা না থাকায় তারা অতি কষ্টে দিন যাপন করছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, সরকারী ভাবে ৭টি উপজেলার জন্য ৬০০ পিচ কম্বল বরার্দ্দ এসেছিল যা ইতো মধ্যে ১ মাস আগে বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই কণকণে ঠান্ডায় শিতের বস্ত্র খুব প্রয়োজন যেহেতু এখন নতুন ভাবে কোন শীত বস্ত্র আসেনি তাই সমাজের বিত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে ছিন্নমুল মানুষের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান।