অনলাইন ডেস্ক:- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানেরা। শনিবার সকাল ১০টার কিছু পরে গণভবনে তারা ফলাফল হস্তান্তর করেন।
ফলাফল হস্তান্তরের পর শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার পাসের হার ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। মোট জিপিএ পেয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন। শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭টি। স্কুলে পাসের হার ৮৬. ৭২ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ২০, কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০১। বিদেশের আটটি কেন্দ্রে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৬।
২০১৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭. ০৪ শতাংশ। এবার ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন শিক্ষার্থী। মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ এগারো হাজার ৯০১ জন। গত বছর জিপিএ–৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ পরীক্ষার্থী।
মন্ত্রী জানান, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৪.২২। জিপিএ ৫ পেয়েছে দশ হাজার ১৯৫ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮২.৭৭। জিপিএ ৫ পেয়েছে সাত হাজার ১১৬ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮৫.০৫। জিপিএ ৫ পেয়েছে সাত হাজার ১১৬ জন।
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরীক্ষার ফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মোবাইলে এসএমএস করে ও ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমামনের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি জোটের হরতালের কারণে একটি পরীক্ষাও নির্ধারিত দিনে অনুষ্ঠিত হয়নি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হলে হরতালে ১৬ দিনে মোট ৩৬৮টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। এসব পরীক্ষা শুক্র ও শনিবার নেয়া হয়েছে। ৩০ মার্চ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। হরতালের কারণে ব্যবহারিক পরীক্ষা পিছিয়ে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করা হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ৩ জুন পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ৬০ দিন পূর্ণ হবে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছর ১০ বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, জিপিএ–৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ পরীক্ষার্থী। ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৬৭, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৫ ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।