জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- রাজনৈতিক পরিস্থিতি এ মুহূর্তে অনেকটা শান্ত। জাতীয় নির্বাচনও শেষ। এ অবস্থায়ও গতকাল শনিবার দেশের বিভিন্ন জেলায় খুন হয়েছেন অন্তত চার জন। এদের মধ্যে তিনজনই রাজনৈতিক কারণে হত্যার শিকার; একজন ব্যবসায়িক কারণে। গতকাল (শনিবার) সকালে সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে এক শিবিরকর্মী, নাটোরের একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে আজ দুপুরে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নীলফামারীতে উদ্ধার করা হয়েছে বিএনপি নেতার লাশ আর বরিশালে একজন ব্যবসায়ীর মৃতদেহ। স্থানীয় পুলিশ ও সাংবাদিকদের সুত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নাটোর জেলার সিংড়া উপজিলার কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান ফুনুকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সিংড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাবার পথে শাহপাড়া এলাকায় তার উপর অতর্কিত হামলা হয়। মোটর সাইকেলে থাকা তার একজন সহযোগীও আহত হয়। এদিকে, শনিবার ভোর ৫টার দিকে সাতক্ষীরার পূর্ব ভোমরা এলাকায় যৌথবাহিনী আসামি ধরতে গেলে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেয়। বাহিনীর গাড়ী লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় যৌথবাহিনীর গুলিতে আবু হানিফ ছোটন (১৮) নামে এক শিবির কর্মী নিহত হয়। এ ছাড়া, নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীর মৃতদেহ পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী একটি বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী ও নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলার মামলার ১নং আসামি ছিলেন। নিহতের পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকে গোলাম রব্বানীর পলাতক ছিল এবং গত কয়েকদিন আগে যৌথবাহিনী তাকে পঞ্চগড় জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে। অপর এক ঘটনায় শনিবার সকালে বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে রুবেল সিকদার (২৮) নামের একজন ব্যাসায়ীর হাত বাধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি নেতা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবেদিন ফারুক রেডিও তেহরানকে বলেন, বিরোধী দল দমনে পুলিশকে ব্যবহার করা ও দলের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়ার কারণে এমনটি ঘটছে। যৌথ বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলকে দমনের কর্মসূচি বন্ধ না করলে তা সরকারের জন্য মারাত্মক কুফল বয়ে আনবে বলে তিনি মনে করেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভানেত্রী মোশরেফা মিশু বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আবারো ক্ষমতা নিয়ে তাদের মধ্য একটা দম্ভ সৃষ্টি হয়েছে। দেশজুড়ে খুনখারাবি বা নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির কারণ যাই হোক না কেন বা দায়ী যেই হোক না কেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান প্রধানত: সরকারেরই দায়িত্ব। সরকার ন্যায্যভাবে সে দায়িত্ব পালন করবে জনগণ সেটাই চান। সূত্র- রেডিও তেহরান তাঃ-১৯ জানুয়ারি২০১৪ #