জি নিউজ বিডি ডট নেটঃ- আগামী ৫ জানুয়ারি কলঙ্কময় নির্বাচন’ বর্জনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে নির্বাচনের নামে ৫ জানুয়ারির এই কলঙ্কময় প্রহসন পুরোপুরি বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি। এই প্রহসনকে দেশে-বিদেশে কোথাও কেউ নির্বাচন হিসেবে বৈধতা দেবে না। এর মাধ্যমে বৈধতার খোলস ছেড়ে অবৈধ মূর্তিতে আবির্ভূত হবে আওয়ামী লীগ সরকার। এদিকে এই নির্বাচন ঠেকাতে কাল শনিবার সকাল ছয়টা থেকে সারা দেশে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। গত বুধবার থেকে জোটটির ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধও চলছে। ১৮-দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার পরই খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানালেন। বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘দেশের মানুষের ভোটের, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও মৌলিক মানবিক সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ অপকৌশল ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার উদ্দেশ্যে আগামী ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের অর্ধেকেরও কম আসনে নির্বাচনের নামে এক নির্লজ্জ প্রহসনের আয়োজন করেছে। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ভয়ংকরভাবে অপব্যবহার করে গণতন্ত্র নাশের কদর্য অধ্যায় রচনা করা হচ্ছে। তাই ৫ জানুয়ারি চিত্রিত হয়ে থাকবে জঘন্য কলঙ্কময় এক কালো তারিখ হিসেবে। খালেদা জিয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে যে, অল্প কিছু দলীয় লোক সারা দিন ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে জালভোট দিয়ে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাবার জন্য আওয়ামী লীগের এক সাংসদ নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশের প্রমাণ হিসেবে “অডিও ক্লিপ” সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রহসন ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে জনগণ যাতে বৈধভাবে প্রতিবাদ জানাতে না পারে, তার জন্য সবখানে এখন চালু করা হয়েছে বন্দুকের শাসন। খালেদা জিয়া বলেন সমঝোতার মাধ্যমে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পন্থা ও সব পক্ষের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার উপায় বের করার জন্য আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি। জনগণের ওপর আস্থাহীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনে দেশবাসীর রায় গ্রহণে ভীত ক্ষমতাসীনদের একগুঁয়েমির কারণে তা সম্ভব হয়নি। বিবৃতির শেষ দিকে বেগম খালেদা জিয়া বলেন বাংলাদেশের মানুষ আমাকে বিপুল সমর্থন দিয়ে সেবা করার সুযোগ বারবার দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ক্ষমতা আমার কাছে বড় নয়। ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মুক্তির জন্য আমি জীবনের এই প্রান্তে এসেও যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি।