স্বাধীনতা পুরস্কার পদক প্রাপ্ত ও প্রয়াতদের স্বজনের সঙ্গে -শেখ হাসিনা।

gnewsbd.netজি নিউজ, স্টাফ রিপোর্ট ঃ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির যেকোনো নৈরাজ্য শক্ত হাতে দমন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপতত্পরতা চালাচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরুণ প্রজন্মসহ এ দেশের মানুষের অতি প্রত্যাশার বিষয়। তাঁরা গত সাধারণ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আমাদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক জাতি তার স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের আওতায় এনেছে।

দেশের অগ্রযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তা চায়। মানুষের এই প্রত্যাশা পূরণে সমাজে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার সবকিছুই করবে।
শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ণ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ-শান্তিপূর্ণ দেশে পরিণত করতে একসঙ্গে কাজ করি।’
জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের অমর চেতনা বাস্তবায়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর বাংলাদেশের নাগরিক ও সংগঠনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ বছর পদক পাওয়া আট বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে মরহুম এম এ হান্নান, শহীদ এম শামসুল হক, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার আবদুল হামিদ, এম মোশাররফ হোসেন ও লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক, অর্থনীতিতে প্রয়াত স্বদেশ রঞ্জন বোস, শিল্প-সংস্কৃতিতে প্রয়াত সত্য সাহা এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণে মুহাম্মাদ আবদুল হামিদ মিয়া।
প্রধানমন্ত্রী এ বছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করেন। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে একটি করে স্বর্ণপদক, দুই লাখ টাকার একটি চেক ও একটি সনদ।
প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট নাগরিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিদেশি কূটনীতিকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিদের পক্ষে মুহাম্মাদ আবদুল হামিদ মিয়া অনুষ্ঠানে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। মন্ত্রিপরিষদের সচিব এম মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা অনুষ্ঠান পরিচালনা ও মানপত্র পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

 

জি নিউজ/বার্তা/২৫-০১-২০১৩

Exit mobile version