জি নিউজ বিডি ডট নেট ডেস্ক ঃ- সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এক নারীসহ ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার ও উদ্ধার তৎপরতার টিম লিডার জাবেদ হোসেন মো. তারিক ১১ জনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল পৌনে সোয়া ৯টা পর্যন্ত আরও চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। উদ্ধারকৃত মরদেহের মধ্যে পাঁচটি শিশু এবং ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারীর লাশ সনাক্ত করা গেছে। তার নাম তার নাম রোকেয়া (৩০)। তিনি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের আবুল হাশেমের স্ত্রী। বাকিদের শরীর আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তারা পুরুষ নাকি নারী তা বোঝা যায়নি। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থেকে শতাধিক বালু-পাথর শ্রমিক নিয়ে ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি যাচ্ছিল। রাত ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাপপুর এলাকার সুরমা নদীতে পৌঁছালে হঠাৎ করে নৌকায় রাখা চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় আগুনে পুড়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। অর্ধশতাধিক যাত্রী সাঁতরে নদীর তীরে ওঠেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পুড়ে যাওয়া ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করেন। এদিকে, সিলেট থেকে উদ্ধার কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সকাল পর্যন্ত জীবিত ৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো ২৫ জন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য নিহতদের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। তিনি জানান, ছাতকের সহকারী ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) গোলাম মাইনুদ্দিন ও ছাতকের ইউএনও আইনুল আকতার পান্না ঘটনাস্থলে উপস্থিতি রয়েছেন এবং জেলা প্রশাসক ইয়ামিন চৌধুরী ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সূত্র -রেডিও তেহরান তাঃ-৪ ফেব্রুয়ারি২০১৪ ।
সুনামগঞ্জে ট্রলারডুবি- ১১ মৃতদেহ ও ৬০ জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ২৫
Share This