জিনিউজঃ ঢাকার অদূরে সাভারের আবাসিক হোটেল গুলোতে দিনের বেলায় চলছে অসামাজিক আর অনৈতিক কার্যকলাপ। সাভারের স’ানীয় প্রশাসনের কর্তাদের কাঁচা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দেদারছে চলছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ। কে শুনবে ? আর কে দেখবে ? যারা দেখার দায়িত্বে এবং রক্ষক হিসেবে পরিচিত তাদের নামেই চলছে এসব ব্যবসা। তবে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো তেলেসমাতি খেলা করছে প্রশাসন। খদ্দর সহ পতিতা আবাসিকে দেখতে পেলেও তাদেরকে গ্রেফতার না করে আবাসিকে বসেই টুপাইস আদায় করা হয়। আবার এসব ঘটনা তাদের বড় কর্তারাও জেনে গেলে নিরভে বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করেন। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে সাভারের আবাসিক হোটেল গুলোতে। কথায় আছে ঢেকি র্স্বগে গেলেও ধান বুনে আর পুলিশ কবরে গেলেও ঘূষ খাবে এমন কথাটি ব্যস্তবে সত্য প্রমানিত হয় । কারণ বিগত পবিত্র রমজান মাসেও আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে অবৈধ কর্মকান্ড। এসব কিছুই নিরবে হোটেল মালিকদের সাথে কাঁচা টাকার বিনিময় ধফারফা করছে প্রশাসন। অথচ সেখানে এসব নাটের গুরম্ন হেটেল মালিক কিংবা ম্যানেজারকে আটক করে লাল দালানের মধ্যে পুরে দেওয়ার কথা সেখানে করা হয় তাদের জামাই আদর। সাভারে প্রায় ৫টির মতো আবাসিক হোটেলে এসব অসামাজিক আর অনৈতিক কার্যকলাপ চলছে দিনের বেলায়। আর এসব থেকে বখরা আদায় করছে প্রশাসন। হেটেলের ম্যানেজার কিংবা মালিক প্রশাসনের কারো না কারো আত্বীয় পরিচয়ে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে দাপটের সাথে। সাভার বাজার বাস স্ট্যান্ডে অবসি’ত সাভার ইন, নিরিবিলি, ইউনাইটেড এতিনটি আবাসিক হোটেল বাজারের পরিবেশ বিষাক্ত করে তুলেছে বলে সাধারন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। অথচ নিরিবিলি আবাসিক হোটেলের সামনে পুলিশ নিয়মিত ডিউটি করছে। এবং কিছুদুর সরেই আবার টাফিক পুলিশ ফাঁড়ি এবং হাফ কিঃ মিটার দূরেই সাভার মডেল থানা অবসি’ত। এসব আবাসিক হোটেল কিংবা এসব কিছু নিয়ে লেখতে গেলে নিজেকে ছোট মনে হয়। তবে না লিখলেও নিজেকে একজন অপরাধী মনে হয়। তাই নিজের বিবকের কাছে দায় বদ্ধ হয়ে আজকের এই প্রতিবেদন। সাধারন ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সাভারের এসব হেটেলের বিরম্নদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, হোটেল নিরালা আর সাভার ইন মানেই পতিতা আর খদ্দেরের রমরমা ব্যবসা আর সকল অসামাজিক কাজের আখড়া। এসব হোটেলে প্রতিদিন কলেজ ভাসিটিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ থেকে শুরম্ন করে ৪০ বছর বয়সী যুবতীও নারী এনে রাখা হয়। এবং স্থানীয় ভাসমান ৫/৭ জন পতিতাও রেখে চলানো হচ্ছে আদি বর্বরুচিত অসামাজিক কার্যকলাপ।
অভিযোগ রয়েছে এসব হোটেলে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাক্তিরা আসা যাওয়া করে এবং নিয়মিত বখরা নেয়। হোটেলের এসব অসামাজিক কার্যকলাপের ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে পুলিশ দিয়ে আরো হয়রানী করানো হয়। তবে এসব পুলিশের নাকের ডগায় হলে ও কুর্ণরম্নম্ভের ঘুমের মত ঘুমিয়ে থাকার ভান করে আছে পুলিশের বড়কর্তারা। এব্যাপারে সাভার ইনও নিরালা আবাসিকের ম্যানেজারের সাথে আলাপ কারলে তারা জানান, এ-দুই আবাসিকের পতিতা ব্যবসার লাইসেন্স আছে ফলে তারা কারো কুচপরোয়া করেনা।
তবে এব্যাপারে সাভার মডেল থানার এক পুলিশ সদস্য জানান, সাভারের কোন আবাসিক হোটেলে পতিতা ব্যবসা করার কোন লাইসেন্স নেই তারা গোপনে হয়তো এমন কার্যকলাপ করে থাকতে পারে। বিষয়টি প্রশাসনের ঊদ্ধতন কর্মকতাদের নজরে নিয়ে দ্রুত এসব আবাসিকের মালিকদের বিরম্নদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন বাজারের সাধারন ব্যবসায়ীরা।
সাভারের আবাসিক হোটেল গুলোতে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ
Share This