জি নিউজ বিডি ডট নেট, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বন্দরে সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর জমি দখলকরে বাড়ী নির্মাণ করছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। এ নিয়ে থানায়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি সংখ্যালঘু ওই ব্যবসায়ী। বিএনপি নেতা কর্তৃক জমি দখল করায় স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা যায় ধাপেরহাট বন্দরের জুয়েলারি ব্যবসায়ী বিপ্লব চন্দ্র কর্মকারের পৈত্রিক ৪ শতাংশ এবং তৎসংলগ্ন দলিল মুলে ক্রয়কৃত আরও ৪ শতাংশসহ মোট ৮ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী আজিজার রহমান। এলাকায় ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত আজিজার রহমান ধাপেরহাট ইউনিয়ন বিএনপি নেতা। বহু বিবাহ ও আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় নিজ কর্মস্থল রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মনিকৃষ্ণসেন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন আজিজার রহমান।
ব্যবসায়ী বিপ্লব চন্দ্র কর্মকার জানান, তাঁর জমির সঙ্গে আজিজার রহমানের জমি রয়েছে। এই সুযোগে আজিজার রহমান জোর পূর্বক তার ৮ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছেন। জমি ফেরত পেতে তিনি থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। এলাকায় একাধিকবার শালিশ দরবার হয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিকার মেলেনি। এমনকি পুলিশও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বিপ্লব কর্মকারের কাকা ননি গোপাল কর্মকার জানান, মাতৃ-পিতৃহারা তার ভাতিজা আজিজার রহমানের ভারাটিয়া ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তার অব্যাহত হুমকিতে গোটা পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ সবের সত্যতা স্বীকার করে ধাপেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন বলেন, জমি দখলকারী আজিজার রহমানের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ রয়েছে। ধাপেরহাট বন্দর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিক মিঠু জানান, জমি নিয়ে আজিজার রহমানের সঙ্গে একাধিকবার আপোসরফার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সবকিছু উপেক্ষা করে দখলে নেওয়া সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর জমিতেই নতুন বাড়ী নির্মাণ করছেন। ধাপেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নওশা ও যুবলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলাম জানান, কাগজপত্র দেখে আজিজার রহমানকে দখলি জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কারও কথাই কর্ণপাত করেন না। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, দ্রুত এই ঘটনার সমাধান না হলে তারা মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী দেবেন।
ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খ.ম হাফিজুর রহমান জানান, ওই জমি নিয়ে বিপ্লব চন্দ্র কর্মকার অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে মতামত জানতে আজিজার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান তিনি একেক সময় একেক মোবাইল সিম ব্যবহার করেন। তাই তাকে পাওয়া মুসকিল।