সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, জি নিউজঃআধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় গ্র“পের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শহর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিনের অবস্থা আশংকা জনক। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে শহরের ইটাগাছা হাটের মোড়, বাঙ্গালের মোড় এবং বাকাল সড়ক এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই গ্র“পের সংঘর্ষে এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ঘটনার পর থেকে বিপুল পরিমান পুলিশ ও আনছার সদস্যরা পুরা এলাকা ঘিরে ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে এসংঘর্ষ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার শহরের ইটাগাছা মোড়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী শাহিনকে মারপিট করে আসাদুল চেয়ারম্যানের ছেলে বাবু। পরে তাকে ধরে নিয়ে সদর থানায় আটকে রাখা হয়। প্রতিবাদে স্থানীয়রা সাতক্ষীরাকালিগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রায় দু’ঘণ্টা ব্যাপি চলে এই অবরোধ। মঙ্গলবার শহরের ইটাগাছা অঞ্চলের আমির হাবিলদারের ছেলে যুবলীগ নেতা আল-আমিনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আসাদুল চেয়ারম্যানের ছেলে শাওন ও তার বন্ধুরা। পরে তাকে দেবহাটার কুলিয়ায় নিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এরই জেরধরে গতকাল সকাল ১১টার দিকে আ’লীগ নেতা আসাদুল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক মটরসাইকেল শহরে মহড়া দেয়। মহড়াটি কুলিয়া যাওয়ার পথে ইটাগাছা বাঙ্গালের মোড় এলাকায় যুবলীগ ও স্থ’ানীয় পরিবহণ শ্রমিকরা পেছন থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অভিযোগ আসাদুল গ্র“পের। ঘটনার পর পরই উভয় গ্র“পের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। দুপুরে পুলিশ সুপার মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান আসাদুল হক গনমাধ্যমকে জানান, তার লোক জনের উপর ইটাগাছা অঞ্চলের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এতে কম বেশি কয়েকজন আহত হয়। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আমান উলাহ জানান, সকালে আসাদুল চেয়ারম্যানের লোকদের উপর স্থানীয় শ্রমিকরা দু’একটি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা করলেও পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবী করেন।
কাজী নাসির উদ্দীন, সাতক্ষীরা