কাজী নাসির উদ্দীন, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আবু রায়হানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার দু’দিন পর দেবহাটা থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের মা মিলি বেগম বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে অজ্ঞাতদের আসামী করে এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫। এমনকি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সংখ্যাও এজাহারে উলেখ নেই। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডে পুলিশ বিজিবি ও র্যাবের যৌথ অভিযানে এ পর্যš— জামায়াত শিবিরের ২৫ নেতা কর্মী ও সমার্থককে আটক করা হয়েছে।
পাশাপাশি আবু রায়হানের খুনীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবীতে দেবহাটার পার“লিয়াস্থ তার বাসভবনের সামনের মহাসড়কে পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আবু রায়হানের মা মিলি বেগম, স্ত্রী বিউটি খাতুন, শিশু পুত্র তন্ময় রায়হান, চাচাত ভাই শহিদুল ইসলাম প্রিন্সসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এছাড়া একই দাবীতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরায় ১৪ দলের উদ্দ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এসময় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু নাসিম ময়না। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নজর“ল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাসিম ময়না, যুগ্ন সম্পাদক আবু আহমেদ, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সম্পাদক এড. মুস্তফা লুৎফুল্যাহ, জাসদের সভাপতি কাজী রিয়াজ, বাসদের নিত্যনন্দ সরকার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, আবু রায়হানের মত একজন উদিয়মান আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করে জামায়াত শিবির দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে তারা রায়হানকে হত্যা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ¯স্বপক্ষের সংগঠনগুলি সম্মিলিত শক্তি নিয়ে মাঠে আছে। রাজাকার,আলবদরদের মনস্কামনা বাংলার মাটিতে কখনই পুরন হবে না।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে দেবহাটা উপজেলার পার“লিয়া বাজারে আবু রায়হানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর বাশি ফুকিয়ে ¯স্লোগান দিতে দিতে ১০/১২ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা চলে যায়। এঘটনায় নিহতের পরিবার প্রথমে লাশের ময়না তদন্ত করতে বা মামলা করতে রাজি না হলেও ২দিন পর এসে অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।