সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আমদানিকৃত বিপুল পরিমান পেয়াজ আটক করেছে বিজিবি

piajকাজী নাসির উদ্দীন সাতক্ষীরাঃচোরাচালানির মাধ্যমে বিপুল পরিমান পেয়াজ ভোমরা বন্দরে আমদানি পূর্বক তা পরিবহনের সময় আটক করেছে বিজিবি। গতকাল সকালে ভোমরা বিজিবি ক্যাম্প কর্মকর্তার নেতৃত্বে টহলদল বিপুল পরিমান এই পেয়াজ আটক করে। বিকেলে সেগুলো বিজিবি সাতক্ষীরা সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পেয়াজের দাবিদার মালিকপক্ষরা বৈধপথে আনার দাবী করে কাগজপত্র সংশি­ষ্ট দপ্তরে জমা দিলে তা  ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, সা¤প্রতিক সময়ে পেয়াজের মূল্য আকাশ চুম্বি হওয়ায় রাঘববোয়াল কয়েকটি চোরাচালানি চক্ররা এলসির মাধ্যমে বৈধ পথে আমদানি না করে চোরাই পথে অল্প অল্প করে এনে গোডাউনে জমা রাখে। এরপর গতকাল এই পেয়াজ পরিবহন যোগে দেশের অন্যত্র নেয়ার সময় ভোমরা বিজিবি ক্যাম্প কর্মকর্তাসহ সঙ্গীয় ফোর্স উক্ত পেয়াজ আটক করে। বিপুল পরিমান পেয়াজ বিকেলে ৭টি ট্রাক যোগে সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি’র সদর আনা হয়। এরপর চোরাচালানি চক্ররা কয়েকটি মাধ্যমকে সামনে রেখে উক্ত পেয়াজের বৈধ দাবিদার হিসেবে কাগজপত্র বিজিবি সদর দপ্তরে জমা দেয়। বিজিবি’র দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। উক্ত কাগজপত্র বৈধ কি না তা  ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানাগেছে আটককৃত পেয়াজের পরিমান আনুমানিক ১৪০ টন হবে। উলে­খ্য, বেশ কিছুদিন ধরে চোরাই পথে ভোমরা বন্দরের আসপাশ দিয়ে রাতের আধারে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমান পেয়াজ আমদানি করে চলেছে কয়েকটি চক্র। ফলে বৈধভাবে পেয়াজ আমদানি কারকরা এব্যবসায় হিমশিম খাচ্ছে। ভোমরার স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বানের স্রোতের মত এখন প্রতি রাতেই এভাবেই বিপুল পরিমান পেয়াজ আসছে। পরিমান মত হলে সেগুলি বিভিন্ন সময়ে আমদানিকৃত কাগজপত্রের উপর ভর করেই তা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে বিপুল পরিমান পেয়াজ আটকের সত্যতা স্বীকার করে বিজিবি’র অপরেশন অফিসার আনোয়ার“ল মাজহার জানান, বিজিবি সদর দপ্তরে উক্ত পেয়াজ আনার পর তার কাগজপত্র ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাগজপত্র যাচাই বাছাই না করে কোন মন্তব্য করা যাবেনা।

Exit mobile version