উক্ত বিদ্যালয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম শিক্ষক -কর্মচারী কল্যান ফান্ডের প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে আত্মসাৎ করে। এঘটনার জেরধরে শিক্ষক -কর্মচারীরা বুধবার সকাল ১০ টা থেকে ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষককে অবর“দ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে বাকবিতন্ডার পর শিক্ষকরা শ্রেনী কক্ষে ফিরে যায়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম দশম শ্রেনীর ক্লাসে ঢুকে পাঠদান শুর“ করলে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানান। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রধান শিক্ষক শ্রেণী কক্ষ থেকে বের হয়ে অফিসে ঢুকে পড়েন। এসময় বহিরাগত তালতলা এলাকার লিটনসহ কয়েক যুবক প্রধান শিক্ষককের পক্ষ হয়ে শিক্ষার্থীদের মারপিট করে। এতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আবু ইছা, আবু সুফিয়ান, অষ্টম শ্রেণীর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও দশম শ্রেণীর আরাফাত হোসেন আহত হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুুব্দ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে সকল ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষকের কাছে বহিরাগত হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে অবর“দ্ধ করে বিক্ষোভ করে। এতে যোগ দেয় শিক্ষক -কর্মচারী ও অবিভাবকসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যš— প্রধান শিক্ষককে অফিস কক্ষে আটকিয়ে অবরোধ চলতে থাকে। তারা প্রধান শিক্ষকেরকের চাকরী ছাড়তে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চাপের মুখে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বিকেল সাড়ে ৩ টায় স্কুলের প্যাডে চাকরী থেকে পদত্যাগ পত্র লিখে দিলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। গতকাল প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, তাকে প্যাডে জোরপূর্বক চাকরীর অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করে নেয়া হয়েছে।