সাজানো প্রহসনের. নির্বাচন বন্ধ করুন- মির্জা ফখরুল

জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনের চলমান প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ১৮ দলীয় জোট  বিএনপি। সেইসঙ্গে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গতকাল রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ,সরকারের পোষ্য নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের আগেই আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তাদের দিয়ে সাজানো প্রশাসনের সহযোগিতায় ১৫৪ জন ব্যক্তিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রহসনের নাটক নির্বাচন কমিশন মঞ্চস্থ করেছে, তা নজিরবিহীন এক লজ্জাজনক ঘটনা। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, সাজানো প্রশাসনের নির্বাচনের প্রহসন ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথিত ফলাফল বাতিলসহ নির্বাচনী কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।এদিকে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধের মধ্যেই দশম সংসদ নির্বাচনের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলছেন। মির্জা ফখরুল বলেন  জনগণের রায়কে প্রধানমন্ত্রী ভয় পান বলেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিধস পরাজয়কে এড়ানো ও গণরোষ থেকে বাঁচার জন্য ভোটারদের অর্ধেকেরও বেশি সংসদীয় আসনে ভোট দেয়ার সুযোগ না দিয়ে তথাকথিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার কলঙ্ককে বরণ করে নিতে কুণ্ঠিত হননি। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে হরতালের পর টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধী দল, যাতে দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগও সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে। বিজয় দিবসের পর নতুন করে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণার আলোচনাও রয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বিরোধী নেতা-কর্মীদের হত্যা-গুম-গণগ্রেপ্তার- ঢালাও নির্যাতন অব্যাহত রাখে, তাহলে দেশ রক্ষার জন্য বিরোধী দলের আরো কঠোর আন্দোলন দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গত পাঁচ বছরে নির্যাতিত হয়েও শুধু দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে এখনো সঙ্কট নিরসন চাই। সব দলের অংশগ্রহণে ও নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আমরা ইতিবাচক মনোভাব থেকে দূরে সরে আসিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এত প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছিলেন, ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে প্রার্থী দেয়ায় এই সংখ্যা কম হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে এলেও একই প্রক্রিয়া নেয়া হত। তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন এতে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। এটা প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী  জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস কখনোই মনে করেন না এবং জনগণের ভোটের প্রতিও তার কোনো আস্থা নেই।তাঃ-১৬-১২-২০১৩