নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্ত্রাসী-সহিংসতা-নাশকতা সংক্রান্ত সম্প্রতি একাধিক প্রতিবেদন লেখায় আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডট কমের চিফ রিপোর্টার দীপক চৌধুরীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকিদাতাদের প্রধান হিসাবে পূর্ব রামপুরার জনৈক গাজী নাজমুল তারেক ওরফে নাজু বাহিনীকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় গতকাল রোববার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। (জিডি নম্বর ১৬৬৪)।
জিডিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার ওপর ‘দিন বদলে শেখ হাসিনা’ গ্রন্থ লিখে ‘বহু টাকা’ আয় করার কারণ দেখিয়ে খ্যাতিমান লেখক ও সাংবাদিক দীপক চৌধুরীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা। দাবিকৃত টাকা না দিলে নামে-বেনামে বিভিন্ন মোবাইল ফোন থেকে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এ সাংবাদিক। এছাড়া তাকে ঢাকা ছাড়া করারও হুমকি দেওয়া হয় বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জিডিতে বলা হয়েছে ।গত কিছু দিন ধরে অজ্ঞাত ফোন নম্বর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ফোনে আমাকে হত্যা ও গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হুমকির কারণ হিসাবে জানায়। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী-সহিংসতা-নাশকতার প্রতিবেদন লেখা থেকে আমাকে বিরত থাকতে হবে। ফোনে হুমকি দিয়ে আরও বলা হয় । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার ওপর ‘দিন বদলে শেখ হাসিনা’ গ্রন্থ লিখে বহু টাকা আয় করেছি আর তাই হয় ( ১০,০০০০০/-) দশ লাখ টাকা দিতে হবে নতুবা প্রাণ দিতে হবে। আমি এ হুমকির ঘটনা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। তারা এ ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের অবগত করতে পরামর্শ দেয়। কিন্তু এরমধ্যেই গত শনিবার দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোবাইল ফোনে গাজী নাজমুল তারেক ওরফে নাজু আমাকে অশ্লীলভাষায় ও অশ্লীল (উচ্চারণের অযোগ্য) উক্তি করে সাংবাদিক ও পত্রিকা সম্পর্কে গালি দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। উল্লেখ্য, নাজু অত্যন্ত মিথ্যুক এক কথায় চরম মিথ্যাবাদী, সন্ত্রাসী লালনকারী ও প্রশ্রয়দাতা হিসাবে পরিচিত। সাংবাদিক জিডিতে আরও উল্লেখ করেন । গত শনিবার অফিসে কাজ শেষ করে দিবাগত রাত প্রায় ১টায় আমার বাসায় প্রবেশের সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল যোগে ২১ নম্বর রোডের সামনে আসে। প্রকৃত অবস্থা অনুমান করতে পারি আমি। তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করার আগেই আমি বাসায় প্রবেশ করি। মুহূর্তের মধ্যেই অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। পরে জানতে পারি আমাকে হত্যার উদ্দেশে গাজী নাজমুল তারেক ওরফে নাজু সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাপাতিও অস্ত্র দিয়ে পাঠিয়েছিল। আমি মনে করি, অফিসে টিএন্ডটি ফোনে হুমকিদাতা সন্ত্রাসী ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের প্রধান গাজী নাজমুল তারেক ওরফে নাজু। খিলগাঁও থানায় দায়ের করা জিডিতে বলা হয়, আমার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমি এতটাই আতঙ্কিত যে, হত্যার হুমকিদাতা ও সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমার পত্রিকা অফিসের কর্মস্থলে যেতে পারব কিনা জানি না। সাংবাদিক হিসাবে সাংবাদিকতা করতে যে মনস্তাত্বিক প্রশান্তি থাকা দরকার ভয়ে তা যথারীতি আমার মধ্যে এখন অনুপস্থিত বলে আমি অনুমান করছি। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি।