জি নিউজঃ-বিএনপির ভারপ্র্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন এই সরকারকে সরাবার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ করতে হবে। প্রতিরোধের দূর্গ গড়ে তুলতে হবে। সরকারকে বাধ্য করতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংলাপের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। সংলাপের কথা শুনতে চান না। এখন শোনাতে হবে। প্রয়োজনে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ করতে হবে। এরপর সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা আনতে বাধ্য করা হবে। গতবৃহস্পতিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ষষ্ঠ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে যুবদলের এক সমাবেশে তিনি এ হুমকি দেন। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ১২ তারিখের জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়কের বিল আনুন, অন্যথায় পালানোর পথ পাবেন না। এখন যুবকরা এগিয়ে আসছে, এরা আন্দোলনের ভ্যানগার্ডের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অনেক হয়েছে। অনেক দেখেছি, অনেক সহ্য করেছি। শেখ হাসিনা আমাদের গণতান্ত্রিক সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাবছেন। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের এ সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাবার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, জয় যখন রাজনীতিতে এসেছিলো তখন তারেক ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলো। কিন্তু জয় তারেকে বিরুদ্ধে তার ফেসবুকে যত রকম কটুক্তি বিষোদগার করছে। এখানে পার্থক্য। তারেক রহমান প্রতিহিংসা নয় জয় প্রতিহিংসার মধ্যে বেড়ে উঠেছে। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সহ বিএনপিরর স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।