চট্টগ্রামের নেভাল বার্থে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে চার বছর নিয়োজিত থেকে দেশের জন্য অসামান্য সম্মান ও গৌরব বয়ে আনা জাহাজ, বানৌজা ‘ওসমান’ এর ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার সকালে এ আহবান জানান তিনি। নৌবাহিনীর এ জাহাজটি দীর্ঘ ২৫ বছর দেশ-বিদেশে যে অসামান্য অবদান রেখেছে তারই স্বীকৃতিস্বরূপ এ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৭১০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকা আছে, যেখানে প্রায় তিন কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য সমুদ্রের উপর নির্ভরশীল। বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশের বাণিজ্যের ৯০ ভাগেরও বেশি সমুদ্রপথেই পরিচালিত হয়। সম্পদ আহরণ ও নিরাপদ বাণিজ্য নিশ্চিতে সমুদ্র এলাকার অনুকূল পরিস্থিতি নিশ্চিত ও নিরাপত্তা বিধান অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে নৌবাহিনীকেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নৌবাহিনীকে একটি দক্ষ, আধুনিক ও ভারসাম্যপূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বেশ কিছু স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। তিনি জানান, আমাদের সরকারের সময় মোট ১৬টি জাহাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযুক্ত হয়েছে। দুইটি হেলিকপ্টার ও দুইটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজন করা হয়েছে। নেভাল এভিয়েশান ও Unconventional Warfare এর জন্য স্পেশাল ফোর্স সোয়াডস্ কমিশন করা হয়েছে। একটি শক্তিশালী নৌবহর গঠনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক দুইটি করভেট চীনে নির্মাণাধীন রয়েছে। যা আগামী বছর নৌবহরে সংযোজিত হবে। দুইটি সাবমেরিনও আগামী বছরের মধ্যে নৌবাহিনীতে সংযোজিত হবে। এজন্য পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় সাবমেরিন বার্থিং ও এভিয়েশান সুবিধা সম্বলিত নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ নৌঘাঁটির কার্যপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নৌবাহিনী নিজস্ব অর্থায়নে খুলনা শিপইয়ার্ডে দুইটি কন্টেইনার শিপ, প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীর জন্য পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট তৈরির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন