শেষ অভিযানের জন্য রানা প্লাজায় ভারি যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে

gnewsজি নিউজ ঃ ধসের তৃতীয় দিন শেষে শেষ অভিযানের জন্য রানা প্লাজায় ভারি যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। ঝুঁকির কারণে ঘটনার তিন দিন দু’ রাত পরও সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে লাশ বা জীবিতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতায় নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মকর্তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার বিকেলের দিকে ভারি যন্ত্র ব্যবহারের কথা রয়েছে।

আট তলা ভবন সরানো কষ্টকর হলেও আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য যৌথ বাহিনীর প্রয়োজনীয় সরাঞ্জামাদি ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তুপ এলোমেলো ও বিশেষজ্ঞ মহল থেকে হুশিয়ারি থাকায় কোনো ভারি যন্ত্র এতোদিন ব্যবহার করা হয়নি।

তবে এতে যথেষ্ট সাফল্যও পাওয়া গেছে। ভবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ কেটে এ পর্যন্ত ৩১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, ২৮৯ জনের লাশ হস্তান্তর ও ২৩৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজিএমইএ’র হিসাব অনুযায়ী, রানা প্লাজার ৫টি ইউনিটে পাঁচটি পোশাক কারখানার ৩১২২ জন শ্রমিক কাজ করতেন। নিচে দুই তলা পর্যন্ত মার্কেটেও ঘটনার সময় অনেক মানুষ ছিলেন।

স্বজনহারাদের হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও উদ্ধারকারী দল ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেননি। কারণ হিসেবে সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করেন।

তাদের ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার বিকাল দিকে ভারি যন্ত্র ব্যবহারের কথা রয়েছে।

আরো জানা গেছে, উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য নির্মাণাধীন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ১৬০ টন হাইড্রলিক টেলিস্কোপ ক্রেন, ১০০ টন ট্রেলার, ২৫ টন ক্রেন ও আরও কিছু ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। এছাড়া সেনা, বিমান ও দমকল বাহিনীরও কিছু ক্রেন, উদ্ধারকারী যন্ত্র আনা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর প্রথমে সাধারণ মানুষ নিজ উদ্যোগে উদ্ধার তত্পরতা শুরু করেন। এরপর সেখানে যোগ দেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

সাভার পৌর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার মালিকানাধীন এই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রী ও পোশাকের দোকান ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে ওপর পর্যন্ত কয়েকটি গার্মেন্টস  কারখানা ছিল। এগুলো হলো-নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, নিউ ওয়েভ স্টাইল, নিউ ওয়েভ অ্যাপারেলস, ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেড, ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ইথার টেক্সটাইল লিমিটেড।

ছয় তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি নিয়ে নয় তলা ভবন তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

আল-আমিন/ জি নিউজ

Exit mobile version