রাজাপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

সাইফুল ইসলাম, ঝালকাঠি থেকেঃঝালকাঠির রাজাপুরের উত্তর বারবাকপুর গ্রামে রুবেল হোসেন মৃধা (১৮) নামে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় প্রতিপক্ষরা। এ সময় তার বোন স্কুলছাত্রী তানিয়া ইয়াসমিন (১৪) কেও কুপিয়ে জখম করা হয়। খেজুর রস চুরির ঘটনার শালিশ বৈঠকে যাওয়ার জন্য প্রতিবেশী শাহজালালকে ডাকতে গেলে সোমবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহজালালকে সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুবেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান রুবেল। তিনি ওই গ্রামের আবুল বাসার মৃধার ছেলে ও কাঠালিয়া পিজিএস বহুমুখি কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শীরা ও রুবেলের চাচা এমাদুল ইসলাম জানান, ৮/১০ দিন আগে উপজেলা মনোহরপুর গ্রামের কিছু যুবকরা রাতে বারবাকপুর গ্রামে খেজুরের রস চুরি করতে গেলে শাহজালাল, রুবেল ও বাবুসহ কয়েকজন চোরদের আটক করে উত্তমাধ্যম দিয়ে একটি টর্চ লাইট শাহজালাল রেখে যুবকদের এলাকার দফাদার জেন্নাত আলীর জিম্মায় দেয়। পরে জেন্নাত আলী তাদের ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার পরে ২৫ জানুয়ারি রাতে মনোহরপুরের লোকজন ওই টর্চ লাইটটি উদ্ধার করার জন্য ওই বাড়ি ঘেরাও করে বাড়ির গাছপালা ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা টের পেয়ে সটকে পড়ে। পরে উভয় স্থানের মেম্বররা বিষয়টি মিমাংশার জন্য থানায় গতকাল সোমবার সকাল ১০ টায় শালিশ বৈঠক ডাকে। কিন্তু শাহজালাল শালিশ বৈঠকে যেতে না চাইলে রুবেল তাকে নেওয়ার জন্য ডাকতে গেলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাহজালাল, তার স্ত্রী মুক্তাসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে র“বেলের মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ করেন র“বেলের চাচা এমাদুল। এ সময় ছোট বোন তানিয়া ভাইকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজাপুর, পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুবেল ও তার বোনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেলের মৃত্যু হয়। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় শাহজালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জানান পুলিশ।

 

Exit mobile version