রাজনগর কৃষি ব্যাংকে ঋন জালিয়াতি।।প্রকৃত কৃষকরা কৃষি ঋন থেকে বঞ্চিত

আব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজার থেকেঃ  চাচার নামের পর্চা দিয়ে ঋন নিয়েছে ভাতিজা।আর এই ঋন পরিশোদের জন্য চাচার বাড়ীতে ব্যাংকের লোক হাজির। ঋনের আবেদন পত্রে ভাতিজার ছবি ব্যবহার করা হলেও নাম রয়েছে চাচার। চাঞ্চল্যকর এ ঋন জালিয়াতির ঘটনাঠি ঘটেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কৃষি ব্যাংক মোকামবাজার শাখায়।জানা যায়, উপজেলার অšে—হরি গ্রামের মৃত নর্ম্মদা বৈদ্যের ছেলে মতিলাল বৈদ্য দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী চানপুর গ্রামে বসবাস করে বালাগঞ্জ সদরে  ব্যবসা করেন। পিতৃ স¤পত্তি নিয়ে মতিলালের সাথে তার বড়ভাইয়ের মনমালিণ্য চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তার জের ধরে মতিলালের বড়ভাই মানিক লাল বৈদ্যের ছেলে রানা বৈদ্য মতিলালের পিতা নর্ম্মদা বৈদ্যের নামীয় জমির পর্চা দিয়ে মতিলালের নাম ব্যবহার করে রানা বৈদ্যের ছবি লাগিয়ে চাচকে হেয় করার উদ্যেশ্যে ২০১১ সালে মোকামবাজার কৃষি ব্যাংক থেকে ত্রিশ হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে কৃষি ঋন গ্রহন করে। বিষয়টি তখন মতিলাল বৈদ্যর অজানা থাকলেও ঋন পরিশোদের জন্য ব্যাংকের লোকজন ঠিকই মতিলালের বাড়িতে হাজির হয়। আর তখনই তিনি তার নামে কৃষি ব্যাংকের ঋন থাকার কথাটি জানেন। একটি সুত্র জানায়, ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে কোন প্রকার যাচাই-বাচাই ছাড়াই তখন শত-শত কৃষি ঋন দেয়া হয় ভুয়া নাম ও কাগজ পত্র দিয়ে। বিষয়টি নিয়ে তখন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়।সাংবাদিকদের প থেকে কৃষি ব্যাংক সিলেট অঞ্চলের জিএম,মৌলভীবাজারের ডিজিএম সহ এমডির সাথে যোগাযোগ করা হয়। উর্দ্ধতন কতৃপরে নির্দেশে পর-পর ২ জন ব্যবস্থাপককে অন্যত্র বদলী করা হয়। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি এলাকার ঋন গ্রহিতা কৃষকদের। প্রকৃত কৃষকরা এখনো সহজ শর্তে কৃষি ঋন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

Exit mobile version