স্টাফরিপোটার,জি নিউজ ঃ- রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনি আজ শুক্রবার দুপুরে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তাঁরা ১০টির বেশি যানবাহন ও ফুটপাতের বেশকয়েকটি দোকানে আগুন দিয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। তবে অনেকে দাবি করেছেন, শিবিরও গুলি ছুড়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পরদিন শুক্রবার জুমার নামাজের পর এই তাণ্ডব চালিয়েছে শিবিরের কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের পরপরই মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় জামায়াত-শিবির একটি মিছিল বের করে। মিছিল থেকে একের পর এক ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। পাশাপাশি মিছিল থেকে এলোপাতাড়িভাবে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় আরামবাগ ও এজিবি কলোনি এলাকায় চারটি প্রাইভেটকার, পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি কাভার্ড ভ্যান ও কয়েকটি রিকশা ভ্যান, রিকশা ও ফুটপাতের দোকানের কাঠের চৌকিতে আগুন দিয়াছে তারা। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। পর পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলগুলো একেবারেই পুড়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ একটি প্রাইভেটকারের চালক মো. আলমগীর বলেন, তিনি শান্তিনগর থেকে আসছিলেন। এজিবি কলোনি এলাকায় আইডিয়াল স্কুলের কাছাকাছি আসার পর জামায়াত-শিবিরের ১৫০-২০০ কর্মীর মিছিল দেখতে পান। মিছিল থেকে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকি তাঁকে গাড়িতে রেখেই তাতে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে আশপাশের এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন। এবিষয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আশরাফুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা তিনি ।তাঃ- ১৪ডিসেম্বর ২০১৩
রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনিএলাকা জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব গুলিবিদ্ধ ১০
Share This