জি নিউজঃ-যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কি হত্যাকারী হিসেবে ‘চিহ্নিত’ এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়েছেন। রাজধানীর খিলক্ষেতের কাছে গতবুধবার রাতে ‘ক্রসফায়ারের’ এই ঘটনা ঘটে বলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক জিয়াউল আহসান জানিয়েছেন। তারেক ঢাকা মহানগর যুবলীগের (উত্তর) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গতমঙ্গলবার প্রথম প্রহরে গুলশানে গুলিতে নিহত মিল্কি ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। মিল্কি যেখানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, সেই বিপণি বিতানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় দেখে র্যাব বলেছিল, তারেকই মিল্কির খুনি। তারেককে গতমঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে তাকে গুলশান থানায় আনার পথে তার সহযোগীরা র্যাবের ওপর হামলা চালায় বলে জিয়াউল আহসান জানান। তিনি বলেন, তারেককে ছিনিয়ে নিতে দুর্বৃত্তরা র্যাবের ওপর হামলা চালায়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে তারেকসহ দুজন মারা যায়। নিহত অন্যজনের নাম শাহ আলম। তিনি তারেককে ছিনিয়ে নিতে হামলাকারী দলের একজন বলে র্যাব জানিয়েছে।‘বন্দুকযুদ্ধে’ র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জিয়াউল আহসান জানিয়েছেন। বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিউল ইসলাম মোল্লা জানান , কাওলা ওভার ব্রিজের কাছে বিমানবন্দর সড়ক সংলগ্ন একটি বাগানে লাশ দুটি পাওয়া যায়। মিল্কি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই মেজর রাশিদুল হক খান গুলশান থানায় যে মামলা করেছেন, তাতে আসামির তালিকায় তারেকের নামও ছিল। গতমঙ্গলবার প্রথম প্রহরে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কিকে হত্যার পর ভোরেই উত্তরার একটি হাসপাতাল থেকে তারেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এদিকে ওই হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তারেকের ব্যবহৃত অস্ত্রটি বুধবার পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। অস্ত্রটি হাতবদল হয়েছে বলে র্যাব জানতে পেরেছে।
রাজধানীর খিলক্ষেতের কাছে – মিল্কির – খুনি – তারেক ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত
Share This