ছবি -জাস্ট নিউজএর
জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ আবেদন খারিজের পর সব প্রক্রিয়া সেরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে মধ্যেই ফাঁসির রশিতে ঝোলানো হয় যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লাকে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১০টা ১ মিনিটে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর কড়া পাহারায় ভোররাতের মধ্যেই লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরের সদর উপজেলার ভাষানপুর ইউনিয়নের আমিরাবাদে তার গ্রামের বাড়িতে। এই যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর রাত সোয়া ১১টার দিকে কারাগার থেকে র্যাব-পুলিশ-বিজিবির পাহারায় অ্যাম্বুলেন্স বের হয়, বোঝা যায় এর একটিতে রয়েছে লাশ। রাত ৪টার দিকে ফরিদুপরের আমিরাবাদ গ্রামে লাশ পৌঁছানোর পর সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় কাদের মোল্লাকে, একাত্তরের নৃশংসতার জন্য যিনি প্রথম ফাঁসিকাষ্ঠে উঠলেন।উল্লেখ – নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামিকে তওবা পড়ানো হয় এবং ফাঁসিতে ঝোলানোর পর পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। সিভিল সার্জন ও মৌলভীকে নিয়ে ঢোকেন ডিআইজি (প্রিজন্স) গোলাম হায়দার, অতিরিক্ত ডিআইজি ইফতেখার আহমেদ ও র্যাব-১০ এর অধিনায়ক ইমরান হোসেন। এর কিছুক্ষণ পর ঢোকেন ঢাকার জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুন । এর মধ্যেই কারাগারের ভেতর থেকে খবর আসে, ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। শাহজাহানের নেতৃত্বে ছয়জন জল্লাদ ফাঁসিতে ঝোলাবেন কাদের মোল্লাকে। রাত ১০টার কিছু সময় পরই কারা সূত্র জানায়, ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে যুদ্ধাপরাধীকে। রিভিউ আবেদন খারিজ– মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ আনার পর বুধবার সকালে মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন কাদের মোল্লার আইনজীবীরা। দুদিন শুনানি পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আপিল বিভাগ ওই আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চের এই আদেশের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম ফাঁসির ঘটনা এটি। এর মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্তঋণ শোধের পালা শুরু হলো- ইতিহাসের কলঙ্কমোচনের নতুন সূচনা । তাঃ- ১৩-১২-২০১৩