মুম্বাই গণধর্ষণর ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

in1অনলাইন ডেস্ক, জি নিউজঃ- ভারতের মুম্বাইয়ে মহিলা সাংবাদিককে পালা করে গণধর্ষণ  মামলার পলাতক আসামিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার ভারতীয় পুলিশ ,ভারতীয় গণমাধ্যমে  এসেছে শুক্রবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে চাঁদবাবু সাত্তার ওরফে মহম্মদ আব্দুল৷ শনিবার গ্রেফতার করা হয় বিজয় যাদব এবং সিরাজ রহমানকে৷ শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় চতুর্থ অভিযুক্ত কাশিম বাঙালিকে৷ পরে দিল্লি থেকে ধরা পড়ে পঞ্চম অভিযুক্ত সেলিম আনসারি৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেলিমকে ধরতে দিল্লি পাড়ি দেয় মুম্বই পুলিশের একটি বিশেষ দল৷ মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযান সম্পর্কে আগে থেকে দিল্লি পুলিশকেও জানানো হয়নি৷ এদিকে, ধৃতদের একজন নাবালক বলে দাবি করেছে তার পরিবার৷ রোববার তৃতীয় চতুর্থ অভিযুক্তকে কিলা কোর্টে তোলা হলে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷ মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা প্রায়ই শক্তি মিল চত্বরে যেত৷ নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করত৷ এমনকী, ঘটনার দিন বাড়ি ফিরে গিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েও ছিল প্রত্যেকে৷ পরে পুলিশ তাদের খুঁজছে জানতে পেরেই বাড়ি থেকে চম্পট দেয় তারা৷ এদিকে, অভিযুক্তদের কঠোর সাজার দাবি জানিয়েছেন নিগৃহীতা তরুণী৷ একটা ধর্ষণ জীবন শেষ করে দিতে পারবে না, হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই বাঁচার গল্প শুনিয়েছেন মুম্বাইয়ের ওই ২৩ বছরের চিত্রসাংবাদিক। তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে যখন পথে নেমেছে গোটা দেশ, তরুণীর মনোবল নতুন করে সাহস জুগিয়েছে তাঁদের প্রত্যেককে। বৃহস্পতিবার নিজের পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে দক্ষিণ পারেলে পরিত্যক্ত শক্তি মিলের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। মুম্বাইয়ের অন্যতম এই প্রাণকেন্দ্রে ভর সন্ধেবেলা তাঁকে ধর্ষণ করে পাঁচ যুবক। বারে বারেই ঘুরে ফিরে আসছে সেই ভয়ার্ত স্মৃতিগুলো। জানান দিচ্ছে শরীরের ক্ষতও। কিন্তু তাতে কি! বছর তেইশের প্রাণটায় যে বাঁচার ইচ্ছে ভরপুর। তাই হাসপাতালের ঘরটা ছেড়ে নিজের কাজে ফেরার জন্য আর যেন তর সইছে না তাঁর। ওই তরুণীকে দেখতে জাতীয় মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল শনিবার গিয়েছিলেন যশলোক হাসপাতালে। পরে দলেরই এক সদস্য নির্মলা সমন্ত প্রভাওয়ালকর জানান, ধাক্কাটা অনেকটাই সামলে উঠেছেন তরুণী। কাজে ফেরার জন্য যেন ছটফট করছেন। তবে অভিযুক্তরা তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে আর তাদের কঠোরতম শাস্তি হলেই প্রাণ জুড়োবে কিছুটা, সে কথাও জানাতে ভোলেননি মুম্বাইয়ের এই চিত্রসাংবাদিক। তদন্তের কাজে পুলিশকে সব রকম সাহায্য করছেন ওই তরুণীর সহকর্মীও। বৃহস্পতিবার রাতেই অপরাধীদের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার তাঁকে সঙ্গে নিয়ে পরিত্যক্ত ওই কারখানায় গিয়েছিল পুলিশের এক দল। কোথায় তাঁকে বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল, আর কোথায় ওই তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক সবই পুলিশকে দেখিয়েছেন তিনি। এও জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঠিক আগেই মেয়ের খোঁজখবর নিতে ওই তরুণীর ফোনে ফোন করেছিলেন তাঁর মা। ভাঙা মদের বোতল মাথায় ঠেকিয়ে রেখে সব ঠিক আছে বলতে তাঁকে বাধ্য করেন অভিযুক্তরাএ খবরঅনলাইনের

 

 

Exit mobile version