জি নিউজ ঃ-বাংলাদেশ থেকে মালয়শিয়া যেতে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ১১ হাজার ৭০৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। গতবুধবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে এদের নির্বাচিত করা হয়েছে। মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, লটারিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত সবাইকে পূর্বের ন্যায় রেজিস্ট্রেশনের সময় দেয়া মোবাইল নাম্বারে মেসেজের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার কথা জানিয়ে দেয়া হবে। এই কর্মীরা চলতি বছরেই মালয়শিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি। নির্বাচিতদের তালিকা ,www.g2g.bmet.gov.bd এই ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে। ঢাকা বিভাগের ৩৬৩৮, চট্টগ্রামের ২২৪৫, রাজশাহীর ১৫৫১, রংপুরের ১৩৬১, বরিশালের ৭৫৮, খুলনার ১২৭৮, সিলেটের ৮৭৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর মালয়শিয়ায় কর্মী পাঠাতে গত ২২ অক্টোবর দুই দেশের সরকারের চুক্তি হয়। এবার শুধু সরকারি পর্যায়েই কর্মী নেয়া হচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, “মালয়শিয়ায় মোট ৩০ হাজার কর্মী পাঠানোর চুক্তির আওতায় ২৪ হাজার ২৮০ জেনের মধ্যে ২য় ধাপেও ১০ হাজার যাবে, বাকিরা শেষ ধাপে যাবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়শিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের থেকে ইতোমধ্যে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ৩৪ হাজার ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছিল । নিবন্ধনকারীদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৭৫৮ জন নির্বাচিত হয়েছিল যাদের মধ্যে মাত্র ১৯৮ জন মালয়শিয়াতে যেতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মালয়শিয়াতে নতুন সরকার গঠন হওয়ায় শ্রমিক পাঠানোয় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে ১৫ দিনের মধ্যে আবারও শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করবে মালয়শিয়া সরকার। মালয়শিয়া যেতে আগ্রহীদের প্রথমে নিবন্ধন করতে হয়েছিল। গত ১৩ জানুয়ারি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সারাদেশের ৬৪ জেলা থেকে মোট ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩৬ জন আবেদন করেন।