মধ্যবয়স্ক, মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন

dw 2স্বাস্থ্য ডেস্ক:- আপনি কি মধ্যবয়স্ক? মদ্যপানের অভ্যাস আছে? তবে আজ থেকেই সাবধান হন৷ কেননা এতে আপনার মানসিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে পারে৷ কমতে পারে স্মৃতিধারণ ক্ষমতাও৷ ব্রিটেনের ৫ হাজার সরকারি কর্মচারির উপর দীর্ঘ গবেষণায় এই ফল পাওয়া গেছে৷ যাঁরা বেশি মদ খান এবং যাঁরা প্রতিদিনই খান তবে খুব সামান্য – এই দুটি দলের মধ্যে বয়স অনুযায়ী তুলনা করে দেখা হয়েছে৷ বুধবার জার্নাল নিউরোলজিতে রিপোর্টটি প্রকাশ হয়৷ প্রতি পাঁচ বছর পর ঐ ব্যক্তিদের মানসিক অবস্থার পরীক্ষা নেয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ তাঁদের চিন্তা-ভাবনা, কার্যকারণ ক্ষমতা ও স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়৷ এ পরীক্ষায় এমন সব বয়সের মানুষ নেয়া হয়েছিল, যাঁদের গড় বয়স এখন ৫৬৷ তাঁরা প্রতিদিন কি পরিমাণ মদ খেত, তার হিসেব রাখা হতো৷ গত ২০ বছর ধরে বিভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যকে তাঁদের মদ খাওয়া ও মানসিক অবস্থা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে৷ মদ্যপান স্মৃতিশক্তিরও ক্ষতি করতে পারে -মানসিক অবস্থার অবনতি দেখা গেছে সেই দলটিতে, যেখানে সবাই বেশি পরিমাণে মদ খেত৷ ৪৬৯ জন আছেন এই তালিকায়৷ যাঁরা প্রতিদিন কমপক্ষে ১৩ আউন্স মদ অথবা ৩০ আউন্স বিয়ার পান করেন এবং তীব্রভাবে পানাসক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে পরিমাণটা প্রায় তিনগুন৷তবে গবেষকরা এখানে নারীদের বয়সের উপর মদের কোনো প্রভাব দেখতে পাননি৷ গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক কম মহিলা পেয়েছেন যাঁরা বেশি মদ খান, কিন্তু তাঁদের বয়সের সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোনো প্রভাব দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-এর গবেষক ও এই গবেষণা প্রতিবেদনের লেখিকা সেভেরিন সাবিয়া৷ কেমন আছে নিজের সন্তানঅনেক মা-বাবা প্রায়ই জানেন না যে তাদের আদরের সন্তান কেমন আছে৷ ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মৃত্যুর প্রধান কারণ দুর্ঘটনা আর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে আত্মহত্যা৷ জার্মানিতে প্রায় প্রতিদিনই দু’একজন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

শেষ চিঠি

লেনার মা সুজানে বলেন, তাঁর মেয়ে ১৬ বছর বয়সে ব্লেড এবং ছুরি দিয়ে কয়েকবারই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো৷ প্রথমদিকে বাবা-মা বা স্কুলের শিক্ষক কেউ সেটা খেয়ালই করেনি৷ চিঠির বাক্সে লেনার লেখা বিদায়ী চিঠি পেয়ে বুঝেছেন, যে তাঁর মেয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছে, জরুরি সাহায্য বা চিকিৎসার প্রয়োজন৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

অনুভূতির প্রকাশ

হাইডেলব্যার্গ ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের প্রফেসার ড. রমুয়াল্ড ব্রুনার বলেন, যদি কেউ নিজের হাত বা পায়ের রগ কেটে ফেলে বা এ ধরনের কিছু একটা করে বসে, তাহলে বুঝতে হবে এটা ওদের রাগ, দুঃখ বা হতাশার প্রকাশ মাত্র৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

নিজেকে কষ্ট দেওয়া

১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয় এবং সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় গোপন রাখা হয়৷ সমীক্ষার ফলাফলে ছেলেদের মধ্যে ৮ জন এবং মেয়েদের মধ্যে ১৮ জন স্বীকার করেছে, তাদের এই ছোট্ট জীবনে অন্তত তিনবার হাত পা কেটেছে, নিজেদের কষ্ট দিয়েছে, তাদের জীবনের দুঃখ, কষ্ট বা হতাশা ভুলে যাবার জন্য৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

ইন্টারনেট, ফেসবুক, মোবাইল

আজকের আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকেই যোগাযোগের জন্য বেছে নেয় কৃত্রিম মাধ্যম ইন্টারনেট, ফেসবুক৷ তাদের মধ্যে অনেকেই ইন্টারনেট নেশাগ্রস্ত৷ এদের অনেকের মতে, মোবাইল ছাড়া জীবন চলাই সম্ভব নয়৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

আসল বন্ধু পাওয়া যায়না

একথা ঠিক, যে আজকের দিনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে এবং ব্যবহারও হচ্ছে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব যোগাযোগ আসল বন্ধু পেতে কোনো কাজে আসেনা৷ বরং এসব বিষণ্ণতার দিকেই ঠেলে নিয়ে যায় এবং ভয় ও আত্মহত্যার চিন্তা করতে সহায়তা করে৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

বসঃসন্ধিকাল

ছেলে মেয়েদের বসঃসন্ধির সময় ওদের আত্মসম্মানবোধ, অকারণেই মন খারাপ হওয়া বা ঘুমের সমস্যা দেখা দেওয়া প্রাকৃতিক নিয়মেই ঘটে থাকে৷ তবে এ সব সমস্যা যদি ঘনঘন দেখা দেয় বা বাড়াবাড়ি হয়, তাহলে সেটা মানসিক অসুস্থতা বলেই ধরতে হবে এবং চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে, বলেন ড.ব্রুনার৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে

কিশোর-কিশোরীদের এই ধরনের সমস্যায় স্কুলের শিক্ষকদের আরো বেশি এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

আলোচনা করতে হবে

মানসিক সমস্যায় শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবক, ছোট-বড় অনেকেই ভোগে এবং আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়৷ এ ধরনের সমস্যাগুলোর শুরুতেই গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানীরা৷

জার্মানিতে কিশোরকিশোরীদের মানসিক সমস্যা

শরীর চর্চা

রাগ, দুঃখ বা হতাশা থেকে সহজে বের হওয়ার উপায় শারীরিকভাবে বা অন্য কোনোভাবে ব্যস্ত থাকা৷ কোনো কাজে যুক্ত হওয়া৷ হতে পারে খেলাধুলা বা যে কোনো ধরনের শরীরচর্চা৷ হতে পারে বাগানের কাজে কাউকে সাহায্য করা, যে কাজ সত্যিকার অর্থেই মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে৷
প্রতিবেদন: নুরুননাহার সাত্তার | সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

দেখা যাচ্ছে, নিয়মিত মধ্যপানের ফলে দুই বছর পর মধ্যবয়সি অধিক মদ্যপ ব্যক্তিদের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং পরবর্তী ছয় বছরে তাঁদের স্মৃতি ধারণ ক্ষমতাও কমতে থাকে৷একটি ই-মেলে সাবিয়া বার্তা সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, ঠিক কোন বয়সে মানুষের জন্য মদ খাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়৷ সাবিয়া বলছেন, তাঁর বিশ্বাস যে কারো কারো চোখে হয়ত এই পার্থক্যটা ধরা পড়া সম্ভব৷ তবে এই গবেষণার সমালোচনা করেছেন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাবসটেন্স অ্যাবিউজ’ বিষয়ক গবেষক সারা জো নিক্সন৷ তাঁর মতে, নতুন এই গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, মদ্যপান ও তার সাথে মানসিক অবস্থার সম্পর্ক৷ গবেষণায় বেশ কিছু সংবেদনশীল মানসিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, যা প্রাত্যহিক জীবনের নানা ঘটনার কারণেও মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে৷  সূত্র- DW.DE

Exit mobile version