সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃভোমরা স্থল বন্দরের হ্যাÊেলিং শ্রমিক ঠিকাদার ও বন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) সহ গুটি কথক ব্যক্তির বির“দ্ধে পন্য খালাসের নামে নানা অজুহাতে দৈনিক দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত এসম¯— অর্থ না দিলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। এঘটনার প্রতিকার দাবী করে বন্দরের নির্যাতিত ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর গতকাল এক অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। এছাড়াও অভিযোগটি অর্থ, নৌ, স্বরাষ্ট্র, শ্রম মন্ত্রণালয় ও দূর্ণীতি দমন কমিশনসহ সরকারের দায়িত্বশীল ১৩টি বিভাগে প্রেরণ করেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, চলতি বছরের বিগত ২৮ মে সাতক্ষীরা র ভোমরা স্থল বন্দর পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এদিন নৌ ও পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান আনুষ্ঠানিক ভাবে পূর্ণাঙ্গ বন্দরের ঘোষনা দেন। ঘোষনার পর থেকে ভারত হইতে আমদানিকৃত ট্রাক পন্য খালাস করতে ভোমরা স্থল বন্দরের যাবতীয় খরজ পার্কিং চার্জ, ইয়ার্ড চাজ, হ্যাÊেলিং চার্জ, মানি রিসিডের মাধ্যমে পরিশোধ করা হলেও প্রতি ট্রাকের পন্য খালাস বাবদ কোন প্রকার মানি রিসিড ছাড়াই নগত ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত এঅর্থ ব্যবসায়ীরা না দিলে পন্য খালাসে গড়িমসিসহ হয়রানি করার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। মেসার্স আজিজ সরদার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ¯^ত্তাধিকারি শ্রমিক ঠিকাদার সাহাবুদ্দিন, স্থল বন্দরের সহকারি পরিচালক ট্রাফিক মাহাফুজুর রহমান, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি নেছার উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাসহ লুটেরাদের আরও কয়েকজন এই উপরি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পেছনে ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। জানাগেছে, প্রতিদিন উত্তোলনকৃত খাতা কলম বর্হিভূত বিপুল পরিমান এঅর্থ রাতে ভাগাবাটোয়ারা করে চলেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে পূর্ণাঙ্গ এবন্দর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে প্রতিদিন অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত অর্থের উৎস্য বা কাদের নির্দেশে তোলা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের এমন প্রশ্নের বিষয়ে দূর্ণীতিবাজ চক্রটি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এঅর্থ তুলছেন এমনটি ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলছেন বলে অভিযোগে আরও বলা হয়েছে। ফলে সরকারের নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে বন্দর অভ্যš—রে আবারো উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
তবে ভোমরা বন্দরের সাংবাদিকসহ দায়িত্বশীল ব্যবসায়ীরা গতকাল সন্ধ্যায় সেলফোনে জানান, এক টন পন্য খালাস করলে ঠিকাদার পাচ্ছে সরকারের কাছ থেকে ১৮ টাকা। শ্রমিকদের দিচ্ছে ১৪ টাকা। ১৮ টাকার পরে ঠিকাদার নিচ্ছে প্রতি টনে বকশিষের নামে অতিরিক্ত ১০ টাকা। ২০ টন পন্যবাহি ট্রাকে অতিরিক্ত ১০ টাকা করে নিলেও আসে ২০০ টাকা, সেখানে নেয়া হচ্ছে ৫ থেকে ৬ শত টাকা। তারপরেও কথা আছে ২০ টনের অনুমোদিত ট্রাকে ২৫ টন পন্য থাকলে কাষ্টমস ছেড়ে দিলেও শ্রমিক ঠিকাদার আব্দুল আজিজের ছেলে সাহাবুদ্দিনের হাত থেকে ব্যবসায়ীদের আর রক্ষা নেই। দর কষাকষি আর দফারফা করেই মোটা অংকের চুক্তি শেষে ব্যবসায়ীরা পন্য খালাসে মাত্র কয়দিনেই হাফিয়ে উঠেছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ভোমরা বন্দরে শ্রমিক ঠিকাদার সাহাবুদ্দিন কি নব্য গডফাদারের ভূমিকায় এসেছেন। এমন প্রশ্ন বন্দরের ব্যবসায়ীদের।
এদিকে এ উত্তেজনাকে ঘিরে নিরষনের লক্ষে গতকাল বিকেলে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ এসোসিয়েশনের নিজ¯^ কার্যালয়ে জর“রী বৈঠকে মিলিত হন। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পদ থেকে অব্যহতি নিতে অš—ত্ব ১০ জন তাদের পদত্যাগপত্র হাতে করে নিয়ে মিটিং এ গেছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যš— আলোচনা চলছিল বলে মিটিং এ উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সেলফোনে জানান।
এদিকে ভোমরা স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারি পরিচালক মাহাফুজুর রহমান রাতে সেলফোনে জানান, কোন ধরণের অনিয়মের সাথে তিনি জড়িত নন। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী তিনি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
কাজী নাসির উদ্দীন , সাতক্ষীরা