এইসব কাজে না আছে কাজের নির্দিষ্ট সময়, না আছে উপযুক্ত মজুরি৷ রোজ ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে মজুরি পায় নগণ্য৷ চরম শোষন চলে এইসব শিশু শ্রমিকদের ওপর৷ ঘর গৃহস্থালির কাজে নাবালিকাদের হামেশাই যৌন শোষণ এবং অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হতে হয়৷ এমন কি পেট ভরে খেতে পর্যন্ত দেয়া হয় না৷ দিল্লিতেই কাজের মেয়েদের ওপর নির্যাতনের একাধিক করুণ ঘটনা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে৷ যেমন এক সরকারি আমলা কাজের নাবালিকাকে ঘরে বন্ধ করে বেড়াতে চলে গেছে৷ জনৈক সাংসদ ও বিধায়কের স্ত্রী কাজের মেয়ের গায়ে গরম খুন্তি দিয়ে পুড়িয়ে দেয় কথা না শোনার কথিত অপরাধে৷ এই নিয়ে পুলিশ ‘কেস’ করে কিছু স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা৷ তাই মনে হয় সরকার আইন করেই খালাস৷ তার সঠিক বাস্তবায়ন নিয়ে কারো যেন মাথাব্যথা নেই৷
দেখা গেছে শিশু শ্রমিকের বেশির ভাগ আসে তপশিলি জাতি-উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর জাতি এবং দলিত সম্প্রদায় থেকে৷ এছাড়া একটা অংশ আসে বাস্তুহারা পরিবার থেকে উন্নয়নের কাজে যাঁদের ভিটে-মাটি হারাতে হয়৷ কিংবা সংঘর্ষ পীড়িত এলাকা থেকে৷ এছাডাও আরো একটা মর্মান্তিক দিক আছে শিশু শ্রমিকদের৷ সেটা হলো বেগার শিশু শ্রমিক প্রথা৷ শিশুর অভিভাবক হয়ত মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে এই শর্তে যে, কাজ করে তা শোধ করে দেবে৷ সেটাতেও যুক্ত করা হয় শিশুদের বিশেষ করে চাষাবাদের কাজে কিংবা ইঁটভাটা বা পাথর ভাঙার কাজে৷ ভারতে শিশু শ্রমের সম্পূর্ণ বিলোপসাধনের জন্য সবথেকে যেটা দরকার, সেটা হলো রাজনৈতিক সদিচ্ছা আর দারিদ্র্য দূরীকরণ৷ দারিদ্র্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে শিশু শ্রম৷খবর:ডিডাব্লিউ,নিয়োগকর্তারা কম মজুরিতে শিশুদের খাটায় অনেক গুণ বেশি৷ আর দরকার বাধ্যতামূলক সর্বজনিন শিক্ষা ব্যবস্থা৷