জি নিউজঃ- বিদেশে কর্মী পাঠানো নামে প্রতারণা ও অনিয়ম করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল ও নুন্যতম ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রস্তবিত আইনে রিক্রেটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নিতে পারবে। তিনি বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী অধ্যাদেশটি রয়েছে সেটি ১৯৮২ সালের। এটাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেই নতুন করে এ আইনটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সচিব বলেন, বিদ্যমান অধ্যাদেশে ২৯টি ধারা রয়েছে। আর এখন যে আইনটির প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে মোট ৬১টি ধারা রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বিদেশগামী শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ সুরক্ষা, দেশীয় রিক্রটিং এজেন্সির প্রতারণা ও ভিসা ট্রেডিং রোধ, রিক্রটিং লাইসেন্স প্রদান এবং বিদেশ ফেরত শ্রমিকের মামলা করার অধিকার ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ আইনে শাস্তির বিধান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনের ৩৭ থেকে ৪৭ ধারা পর্যন্ত অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে। এর মধ্যে বেতন ভাতা সম্পর্কে মিথ্যা আশ্বাসের ৫ বছর কারাদন্ড এবং নুন্যতম ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিদেশি কর্মরত শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও রিক্রটিং এজেন্সিগুলোর জবাবদিতিহিতাও এ আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। প্রতারণা, জবরদস্তি ও মিথ্যা আশ্বাস এবং বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ৭ বছর কারাদন্ড ও নুন্যতম ৩ লাখ টাকার জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে। চাহিদাপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট জালিয়াতির কারণে ৭ বছর কারাদন্ড ও নুন্যতম ৩ লাখ টাকার জরিমানা। অবৈধভাবে বিদেশে কর্মী প্রেরণের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদন্ড ও নুন্যতম ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে। এ আইনে বিভিন্ন অভিযোগে রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত ইত্যাদি শাস্তিও রয়েছে।