এদিকে আজকের ম্যাচে পেস সহায়ক উইকেটে তৃতীয় একজন পেসারের অভাব অনুভব করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পেসারদের বিশ্রাম দিতে অফস্পিনার নাসির হোসেনকে তৃতীয় পেসার হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে সহঅধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করে স্বাগতিকদের অস্বস্তি বাড়ান প্রায় চার বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক জুনিয়র।
৬৫ রানে ৩ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে ধাক্কা সামলে ভালো অবস্থানের দিকে নিয়ে যান টেইলর ও ম্যালকম ওয়ালার। চুতর্থ উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়ার পথে দুই ব্যাটসম্যানই একবার করে জীবন পেয়েছেন। এনামুলের বলে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে লংঅনে নাফীসের হাতে জীবন পান টেইলর। তার বলেই ব্যক্তিগত ২১ রানে পয়েন্টে মোহাম্মদ আশরাফুলের হাতে জীবন পান ওয়ালার।
দ্বিতীয় নতুন বলে ওয়ালারকে (৫৫) বোল্ড করে রুবেল ভাঙ্গেন বিপজ্জনক এ জুটি। ওয়ালারের ১৩৮ বলের ইনিংসে ৩টি চার। এরপর রুবেল চিগুম্বুরাকে বোল্ড করলেও নো বল এর কল্যাণে বেঁচে যান তিনি। ৫৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে রবিউল বাংলাদেশের সেরা বোলার।
এর আগে বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রবিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের চমৎকার বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। নবম ওভারের প্রথম বলে ভুসিমুজি সিবান্দাকে বোল্ড করে অতিথিদের প্রথম সাফল্য এনে দেন রবিউল। অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান টিমিসেন মারুমাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। রবিউলের প্রথম ওভারের শেষ বলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিতে পারতেন অভিষিক্ত মারুমা। কিন্তু প্রথম স্লিপে তার সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেন নি শাহরিয়ার নাফীস।