অনলাইন ডেস্ক:- মানসিক চাপ কমানোর একটি অসাধারণ উপায় হলো বই পড়া। আপনার মানসিক চাপ যদি হয় দুর্বিষহ, তাহলে নিজেকে স্থীর করে একটি স্থানে বসে বই পড়ার চেষ্টা করে দেখুন। এতে আপনার মানসিক চাপ জাদুকরিভাবে কমে যাবে।
১. মাথাঠাণ্ডাকরে বই পড়লে মাথা ঠাণ্ডা হয় এবং এতে মানসিক চাপও কমে। এর অন্যতম কারণ বই পড়া একটি ধীরস্থীর কাজ। এটি কোনো উত্তেজনাকর কাজ নয়, যা আপনাকে অস্থির করে তোলে। তবে কোন ধরনের বই পড়ছেন, তার ওপর এর কিছুটা নির্ভর করলেও সামগ্রীকভাবে বই পড়লে তা আপনার মাঠা ঠাণ্ডা করবে, এমনটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
২. দৃষ্টিসরিয়েনেয় বই পড়া আপনার মন থেকে অনেক বিষয় দূরে সরিয়ে দেবে। এতে মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে এমন সব বিষয়ও অনেকাংশে দূরে সরে যাবে। বইয়ের বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন, এতে আপনার চিন্তা করার মতো কিছু বিষয় থাকবেই। আর এতে আপনার মানসিক চাপের বিষয়বস্তু থেকে মন কিছুটা সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। আর এতে মানসিক স্বস্তির পাশাপাশি ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়টি ভেবে নিয়ে তা সমাধানের উপায়ও বের করা সম্ভব হবে।
৩. সমস্যাদূরেসরায় বই আপনাকে নিয়ে যেতে পারে বিশ্বের যে কোনো স্থানে, যেখানে আপনি যেতে চান। বইয়ের মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন অতীত কিংবা ভবিষ্যতে। আপনার মানসিক চাপ কমাতে এ বিষয়টি কাজে আসবে। খানিকক্ষণের জন্য হলেও আপনার দুশ্চিন্তা ভুলিয়ে দেবে বই। সারাদিনের পরিশ্রমের শেষে এক ঘণ্টা বই পড়া আপনার প্রয়োজনীয় স্বস্তি এনে দিতে পারে। দৈনন্দিন সব সমস্যা এভাবে আপনি কিছুটা হলেও দূরে সরিয়ে দিতে পারবেন।
৪. সঠিকউপায়েরসন্ধানলাভ বই পড়ার ফলে শুধু মানসিক চাপ কমায়, এমনটাই নয়। আপনার মানসিক চাপের কারণ হতে পারে ভিন্ন কোনো বিষয়, যা কমানোর সমাধান পেতে পারেন সে বিষয়ে পড়াশোনা করে। আর এর মাধ্যমে আপনি আপনার মানসিক চাপ সমস্যার সমাধানের চাবিকাঠির সন্ধানও পেয়ে যেতে পারেন।
৫. দৃষ্টিভঙ্গিতৈরিকরে বই পড়ে আপনি আপনার জীবনের মতো আরও বহু মানুষের উদাহরণ খুঁজে বের করতে পারবেন। আর এতে আপনি আপনার সমস্যা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনার জীবনের সমস্যাই একমাত্র সমস্যা নয়। আরও সমস্যা রয়েছে, যা আপনার উপলব্ধি করা ও এ বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি সহজ হবে। আপনার সমস্যাকে বৃহৎ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে সে বিষয়ে যথাযথ ধারণা তৈরি সহজ করে দেবে পড়াশোনা।
৬. শান্তিপূর্ণকাজ বই পড়া একটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কাজ। আপনার অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বৃদ্ধিতে এটি তেমন প্রভাব ফেলবে না। এতে আপনার শরীর বিশ্রামের একটি সুযোগ পাবে। আপনার হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপও বই পড়লে সেভাবে পরিবর্তিত হবে না। মানসিক চাপের মধ্যে তাই বই পড়া এতে দিতে পারে শান্তির পরশ।
৭. চিন্তারখোরাকদেয় ভালো বই আপনাকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করবে। এ ধরনের বই শুরুর পর তা শেষ করার তাগিদ অনুভূত হবে। এতে বইটি যখন আপনি পড়বেন না, তখনও বইটির চিন্তা আপনার মনে থাকবে। ফলে আপনার চিন্তার খোরাক হিসেবে কাজ করবে বইটি। এতে মানসিক চাপযুক্ত পরিবেশেও চিন্তা ভিন্নদিকে সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন আপনি। সূত্র:ইন্টারনেট
