অনলাইন ডেস্ক, জি নিউজঃ- দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা মুসলমানদের কান্না , মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে আজ (মঙ্গলবার) নতুন করে মুসলমান-বিরোধী দাঙ্গায় এক মুসলিম বৃদ্ধা মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন। এছাড়া, জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন যখন ওই এলাকা সফরে রয়েছেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা যখন যখন কঠোর করা হয়েছে তখন এ দাঙ্গা দেখা দিল। এক সপ্তাহ আগে একটি মুসলমান বাড়ির কাছে গাড়ি পার্ক করাকে কেন্দ্র করে এ দাঙ্গার সূচনা হয়। উগ্রবাদী বৌদ্ধরা ওই এলাকার মুসলমানদের ঘর-বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আজকের দাঙ্গায় এক বৃদ্ধা নিহত হন এবং অনেক ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন আজ রাখাইন প্রদেশের মুসলমান অধ্যুষিত অন্য একটি এলাকায় দু’দিনের সফর শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট থেইন এই প্রথম দাঙ্গা বিধ্বস্ত এ এলাকা সফর করছেন। সফরের সময় বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন বলে কথা রয়েছে। গত দু’বছর ধরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র বৌদ্ধরা হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। এসব হামলা ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত হাজার হাজার মুসলমান নিহত এবং বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। যদিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর উগ্র বৌদ্ধদের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু মিয়ানমারের ঘটনাবলীর ওপর তা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। মিয়ানমারের ছয় কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা মাত্র চার শতাংশ এবং বহু বছর ধরে তারা সেখানে বসবাস করে আসছে। কিন্তু তারপরও তারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সরকারি মদদে উগ্র বৌদ্ধদের হামলার মুখে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই রোহিঙ্গা মুসলমানরা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে।খবর রেডিও তেহরান এর তাঃ-মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবার ২০১৩