অনলাইন ডেস্ক:- বাংলাদেশে রপ্তানিকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ‘মানবতাবিরোধী’ কাজে ব্যবহার করা হবে এমন ধারণা থেকে বাংলাদেশের পুলিশের জন্য অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটেন। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-ভুক্ত কয়েকটি দেশও একই ধরনের অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ঢাকার একটি বাংলা দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে আজ (সোমবার) এ মর্মে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০০টি বুলেটপ্রুফ হেলমেটের সঙ্গে বুলেটপ্রুফ ভিসর এবং ১০০০টি বুলেট প্রুফ হেলমেটের সঙ্গে রায়ট ভিসর কেনার জন্য ইউনাইটেড শিল্ড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে গত অর্থ বছরের শেষদিকে চুক্তি সই করে বাংলাদেশ সরকার।
তবে ব্রিটিশ সরকারের এক্সপোর্ট কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বাংলাদেশকে এসব সরঞ্জাম রপ্তানির অনুমতি দিতে অসম্মতি জানিয়ে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মৌলিক স্বাধীনতা’ প্রসংগে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তর বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে বলে দৈনিকটি জানিয়েছে। তাই পুলিশের জন্য অস্ত্র-সস্ত্র কেনার বিকল্প বাজারের সন্ধানে নেমেছে সরকার। তাছাড়া কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে বিষয়গুলো সুরাহা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওদিকে মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার যন্ত্রপাতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এগুলো দেশের অভ্যন্তরে জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাসহ অন্যান্য অপারেশনাল কাজে ব্যবহার করা হবে।
এ প্রসংগে মানবাধিকার সংগঠন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জনাব জাকির হোসেন রেডিও তেহরানকে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য লন্ডন এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতেই ইউরোপ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা আমাদের দেশের বিনিয়োগকেও প্রভাবিত করবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক জনাব সাদেক খান।
ওদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ পুলিশের গোলাবারুদ রপ্তানির জন্য এক্সপোর্ট লাইসেন্স দিচ্ছে না। ইইউভুক্ত দেশগুলো তাদের আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলছে, বাংলাদেশে রপ্তানিকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ মানবতাবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হবে।খবর:রেডিও তেহরান,সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুলিশ সদর দপ্তরকে বিষয়গুলো জানিয়ে দিয়েছে।