পিন্টুকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক পিলখানা হত্যা মামলায় মিথ্যা অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে – মির্জা ফখরুল

জি নিউজঃ- বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পিলখানা হত্যা মামলায় মিথ্যা, অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে  বলে মন্তব্য করেছেন  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । তিনি অভিযোগ করে বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের পর দেশ-বিদেশের বহু পত্রিকায় বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী নেতাদের নাম এলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কিন্তু বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  মির্জা ফখরুল বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডে সরকারের ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্যই দুরভিসন্ধিমূলকভাবে পিন্টুকে আকট রাখা হয়েছে। আমরা এ প্রহসনমূলক বিচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার নিঃর্শত মুক্তি দাবি করছি। এদিকে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্যদের ওপর মহিলা যুবলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ছাত্রলীগ-যুবলীগের পর এবার মহিলা যুবলীগকে মাঠে নামিয়েছে। বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদ ভবন এলাকায় হরতালের পক্ষে মিছিল বের করলে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মহিলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক অপু উকিল ও নাজমা বেগমের নেতৃত্বে মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালায়। বিএনপির সর্বদলীয় সরকারে থাকবে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার মোহ ছাড়াতে পারেনি তাই তথাকথিত সর্বদলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচনের দিকে হাঁটছে। তারা জনগণের শক্তিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার হরণ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ছত্রছায়ায় থেকে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে জনগণের গণদাবী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে দমানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা আলমগীর।    প্রধানমন্ত্রী এক জনসভায় বলেছেন “হরতাল প্রত্যাহার করুন আলোচনার পথ খোলা আছে। কিন্তু জাতির কাছে ওয়াদা করতে হবে আর হরতাল দিযে মানুষের ভগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না”- প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে ইচ্ছে করে জালাও পোড়াও মহাধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ১৭৩ দিন হরতাল পালিত হয় তখন কোন জাতির ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করতেন, জনগণকে দেয়া ওয়াদার বাস্তাবায়ন কতটুকু হয়েছে নিজেই বুঝতে পারতেন।নির্বাচনী ইশতিহারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার ওয়াদা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর গোপন ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন এবং নিজের ক্ষমতা স্থায়ী করতে সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করেছেন। তিনি যদি এটা না করতেন তাহলে দেশের বর্তমান সংকট তৈরী হতো না। মির্জা ফখরুল বলেন, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তারা উথাল পাথাল আন্দোলন করেছিলেন, সে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিজেরাই ধ্বংস করেছেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং অবাধ, স্বচ্ছ ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে তারা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন। বিরোধী দলের আন্দোলনকে নসাৎ করার জন্য শাসক গোষ্ঠী কুটকৌশল অবলম্বন করছে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ।তাঃ-০৫-১১-২০১৩

 

Exit mobile version