জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যতই চেষ্টা করুন না কেন কেউ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । যথাসময়ে নির্বাচন হবে। দেশে অসাংবিধানিক ধারা আর চলবে না। তা আসতে দেবো না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। কতগুলো মন্ত্রণালয় চান? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চাইলেও দিতে রাজি। আসুন নির্বাচনে আসুন। গতকাল রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই হবে এবং অসাংবিধানিক কোন শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিরোধীদলীয় নেতাকে দুপুর একটায় লাল টেলিফোনে বারবার কল করেছি। তিনি ফোন ধরেননি। তার এপিএস বলেছেন, তিনি এ সময় প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি আসলে ঘুমিয়ে ছিলেন। এরপর বারবার চেষ্টা করেছি। অনেক কিছুর পর সন্ধ্যায় কথা হলো। অথচ তিনি ঝগড়া করলেন। আমি তাকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি। আসলে উনি নির্বাচন চান না। তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করি, জনগণের গণতন্ত্রায়নে বিশ্বাস করি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অনেক নমনীয় হয়েছি। আসলে উনি (খালেদা) ইলেকশনই চান না। তিনি মানুষ মারতে চান। গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ মারছেন। জামায়াত-শিবির, বিএনপি-হেফাজত মিলে মসজিদে আগুন দিয়েছেন। কোরান শরীফ পুড়িয়েছেন। তারা দেশে শান্তি চান না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) মানবতা বলে কিছু নেই। ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছেন। একের পর এক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এই পোড়ানোর খেলা বন্ধ করেন। বাংলাদেশের মানুষ ক্ষেপলে, যারা পোড়ানোর হুকুম দিচ্ছেন, তাদের পোড়ানোর জ্বালা সহ্য করতে হবে। যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এতে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন করছে। সর্বদলীয় আন্দোলন করতে হলে রাস্তায় নামেন। রাস্তায় দেখা হবে, কার কত শক্তি, দেখা যাবে। তিনি বলেন, তার (খালেদা জিয়া) জন্মদিনের ঠিক নেই। বিয়ের সময় একটা, পরীক্ষার সময় আরেকটা জন্মদিন রয়েছে। তিনি ১৫ই আগস্ট আমাকে কষ্ট দিতেই জন্মদিন পালন করেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় তার (খালেদা জিয়া) মনে বড় ব্যথা। এজন্য রায়ের দিন হরতাল দেন। তিনিই যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। জানি না তিনি এ দেশের স্বাধীনতা আদৌ চেয়েছেন কিনা বাংলাদেশের মাটিতে খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তার জন্ম হয়েছে ভারতের শিলিগুড়ি চা বাগানে। এজন্য দেশের মানুষের প্রতি তার টান নেই। অনুষ্ঠানে ‘যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক। তাঃ- ০১ ডিসেম্বর ২০১৩
নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই হবে অসাংবিধানিক কোন শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না- প্রধানমন্ত্রী
Share This