অনলাইন ডেস্ক:- আগামী নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে আরো চার বছর অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
দোহারের জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিএনপি এখন নির্বাচনের কথা বলে, সংলাপের কথা বলে। কিন্তু কেন এই সংলাপ, কাদের সঙ্গে সংলাপ। সংলাপের কোন পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। দেশের মানুষ এখন ভালো আছে।
নির্বাচন হবে, তবে সেটা সময়মতই হবে এবং তা ২০১৯ সালের আগে নয়। সেই নির্বাচনের সময় যদি কোন সংলাপের প্রয়োজন হয়, তা হবে সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলোর সঙ্গে। যারা সংসদে নেই, তাদের সঙ্গে কোন অবস্থাতেই আলোচনার সুযোগ নেই,জঙ্গিবাদকে বিএনপি জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনাকে হত্যা ষড়যন্ত্র করছে জঙ্গিরা, যাতে ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।
এদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, জামায়াত সন্ত্রাসী ও জঙ্গী সংগঠন। তাদেরকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধের দাবি এখন সাধারণ মানুষের। বিষয়টি অবশ্যই এই সরকার বিবেচনা করবে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি ও তাদের জোট ভেঙ্গে যাচ্ছে। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকারের প্রতি সবাই আস্থাশীল ও ঐক্যবদ্ধ। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে, গাড়িতে আগুন দেবে, বোমা মেরে ও মানুষকে পুড়িয়ে মারবে, তাদের সঙ্গে বসে মধুর সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, আওয়ামী লীগ এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে যেকোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কঠোর অবস্থান থাকবে বলেও জানান তিনি। এ সময়, দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে জামায়াতকে এখন আর রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করা যায় না এবং বিএনপি নেতারা এখন হতাশাগ্রস্ত রোগীর মত নানান সময় নানা রকম পাগলের প্রলাপ বকছেন বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।