জি নিউজ বিডি ডট নেট ঃ- বিরোধী জোটের ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও পুলিশের গুলি, সংঘর্ষ, ভাংচুর, গাড়িতে আগুন এবং রেল লাইন উপড়ে ফেলাসহ বিক্ষিপ্ত সহিংস ঘটনা ঘটেছে । টানা আবরোধের কারণে রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজধানী থেকে কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি কিংবা বাইরের জেলা থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করেনি। রোববার বিকেল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অবরোধে সংহিসতার চিত্র ধারণ করতে গিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভির দুই সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছেন। তাদেরকে আটক করে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিরোধীদলের কর্মীরা। এ ছাড়া, কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর ও পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন দিয়েছে পিকেটাররা। সকালে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজার এলাকায় যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এত যুবদলের কয়েক কর্মী আহত হয়। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় মহাসড়ক আবরোধ ও রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, চট্রগ্রাম, বগুড়া, দিনাজপুরসহ ১০ জেলায় হরতাল পালন করার কারণে অবস্থা আরো সংকটজনক হয়ে পরে। চট্রগ্রামে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে রেল লাইনের উপর আগুন জ্বালায় পিকেটাররা। এতে চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, বিরোধীদলের কর্মীদের হত্যা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল সোমবার আরো কয়েকটি জেলায় হরতাল ডাকা হয়েছে। চলতি রাজনৈতিক সংঘাত, টানা অবরোধ এবং দফায় দফায় হরতালের কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থার বিপর্যয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন ছাত্র, শিক্ষক ও অভিবাবকরা। শিক্ষাঙ্গনের সংকটের কথা উল্লেখ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেমায়েতুল ইসলাম রেডিও তেহরানকে বলেন, ছাত্রদের ক্লাস-পরীক্ষা ঠিকমতো না হওয়ায় সেশন জট দেখা দেবে। তাছাড়া, চলতি ভর্তি কার্যক্রম ও দারুণভাবে ব্যহত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আবসরপ্রাপ্ত কলেজ অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান জানালেন, রাজনৈতিক আস্থিরতার কারণে শিক্ষার অধঃপতন ঘটছে যা খুবই উদ্বেগজনক। মাগুড়া জেলার একজন আবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তার হতাশা ব্যক্ত করে বললেন, ছাত্রদের পড়ালেখার ক্ষতি ছাড়াও তাদের আভিভাবকদের দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের হাত থেকে কীভাবে রেহাই পাওয়া যাবে তা আল্লাহই ভাল জানেন। সচেতন নারিকরা মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কবল থেকে আজকের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বাঁচানো না গেলে আগামী দিনের বাংলাদেশকে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে। খবর রেডিও তেহরান এর তাঃ- ০২ ডিসেম্বর২০১৩
দ্বিতীয় দিনের অবরোধে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ: উত্কণ্ঠায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা
Share This