ব
ন্দুকযুদ্ধে নিহত কালা বাবু, ছবি নয়াদিগন্ত
অনলাইন ডেস্ক:- রাজধানীর মগবাজারের চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনার প্রধান আসামি শাহ আলম খন্দকার [কালা বাবু] মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
মহানগর পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (দক্ষিণ) একটি দল রমনার মগবাজার বেপারী গলিতে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে জড়ো হচ্ছে বলে জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালায়। গতকাল সোমবার ভোর রাত আনুমানিক পৌনে ৪টায় ওই দল মগবাজার বেপারী গলিতে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশ জানায়, একজন সন্ত্রাসী সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়।
পুলিশ ধাওয়া করে অন্য সন্ত্রাসীদের মধ্যে রাজিব হাসান (২৭) ও আল আমিন (৩১) নামে দু’জনকে ধরতে পারলেও চার-পাঁচজন সন্ত্রাসী গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। রমনা থানা পুলিশের সহায়তায় গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি, সাত রাউন্ড পিস্তলের গুলির খোসা, আট রাউন্ড বন্দুক-শটগানের গুলির খোসা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করে।
আটক দু’জনের দেওয়া তথ্য থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, নিহত যুবক শাহ আলম খন্দকার এবং তিনি মগবাজারের তিন খুনের প্রধান অভিযুক্ত।পুলিশ বলেছে, শাহ আলম খন্দকার অপরাধ জগতে কালা বাবু নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট রাত পৌনে ৮টায় মগবাজারের সোনালীবাগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বৃষ্টি ওরফে রানু (৩০), বিল্লাল (২৫) ও মুন্না (২০) নিহত হন। রানুর ভাই গুলিতে গুরুতর আহত হন। চাঁদাবাজি এবং বাড়ি দখলকে কেন্দ্র করে কালা বাবু ও তার সঙ্গীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ। কালা বাবু প্রকাশ্যেই গুলি করে এই হত্যার ঘটনা ঘটায়। উপপুলিশ কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় এর তত্ত্বাবধানে ও এডিসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সূত্র: রেলের জমি নিয়ে বিরোধ থেকে এই তিন খুনের ঘটনা ঘটেছিল বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল।